চিটাগাং চেম্বার ও সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালস (এসসিআইটিপি)’র যৌথ আয়োজনে ৩দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ–সচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, সোসাইটি অব আইটি প্রফেশনালসের সভাপতি আবদুল্লাহ ফরিদ, মেলার সিলভার স্পন্সর সফোজ’র কান্ট্রি ম্যানেজার এ এইচ এম মহসিন ও টেকনোলজি পার্টনার লিংক থ্রি’র ফয়সাল বিন আমিন।
প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাইভেট সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ভূমিকা রাখছে তথ্য প্রযুক্তি খাতও। তাই দেশের অর্থনীতির আকার বাড়াতে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রিনিয়উরশীপ ডেভেলপ করার জন্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর উপর কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। এজন্য একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতায় ইনোভেশন হাব এবং আইসিটি পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। তরুণ প্রজন্ম ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু উপযুক্ত চ্যানেল না থাকার কারণে তারা সহজভাবে তাদের উপার্জিত অর্থ আনতে পারছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্রিল্যান্সরদের অর্থ সহজে পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে পে–পাল চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একই সাথে তিনি আগামী বাজেটে তথ্য প্রযুক্তি খাতের আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথি বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা দিন দিন উন্নতি করছি। কিন্তু এ খাতে এখনও মাতৃভাষার বাংলা ব্যবহার এখনও পিছিয়ে রয়েছি। তাই এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞদের কাজ করা উচিত।
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অধিকাংশ বৃহৎ প্রতিষ্ঠানই তথ্য প্রযুক্তি খাতের। শুধুমাত্র আউট সোর্সিং এ বিশ্বব্যাপী বছরে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। তাই তথ্য প্রযুক্তির এই জয়যাত্রায় আমাদের সঙ্গী হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। দেশের যুব সমাজকে প্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে এসকল সেন্টারের কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করতে আইসিটি বিভাগের সচিবের প্রতি অনুরোধ জানান।
ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। উল্লেখ্য, মেলায় ৪০টির মত প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬০টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, চীন, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইটি ও সল্যুশন বেইজড প্রতিষ্ঠান এবারের আইটি ফেয়ারে অংশগ্রহণ করছে। মেলা চলাকালীন প্রতিদিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন করা রয়েছে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।