খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফ্রিতে ইন্টারনেট সংযোগ না দেওয়ায় যুবককে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে ক্লোজড করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে তাকে ক্লোজড করে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া। তিনি বলেন, ঘটনার পরই কালকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ (বুধবার) সকাল তাকে খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার মেরুং পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে স্থানীয় ক্যাবল ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন (২৭) কে মারধর করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ ও উপ-পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নেয়। পরে দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন (২৭) জানান, তিনদিন আগে ফাঁড়ির ইনচার্জ আমার কাছে ফ্রিতে ইন্টারনেট সংযোগ চান। না দিলে লাইন খুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি উধ্বর্তন কৃর্তপক্ষের সাথে কথা বলে পরে সিন্ধান্ত জানাব বলে ফাঁড়ি থেকে চলে আসি। আজকে বিকেলে ফাঁড়ি সামনে আমাকে দেখে পুলিশের এক সদস্য আমাকে ফাঁড়ির ভেতরে নিয়ে যায়। এসময় তারা আমার ব্যবহৃত বাইকটির চুরির বলে অপবাদে দেয়। পরে উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান দোতলা থেকে নেমে এসে আমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। আমার দুই হাত প্রচন্ডভাবে জখম হয়।
এই ঘটনায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পিটানোর বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত পুলিশ ফাঁড়ির উপ -পরিদর্শক নাজমুল হাসান।
তবে দীঘিনালার থানার ওসি মো.জাকারিয়া বলেন, অভিযুক্ত উপ- পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান আমার কাছে এই ঘটনায় দোষ স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাকে রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়। সকালে ক্লোজড করা হয়।