মাত্র দুই মাস আগে পুনরায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু তার দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত জানাতে ভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকরা। রোববার দেশটির জাতীয় নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। গত এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ তার প্রতিপক্ষকে পরাজিত করলেও এবার তার দলকে আরো অধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফার লেফ্ট নেতা জ্যঁ-লুক মিলশ্যঁ একটি লেফ্ট-গ্রিন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যারা ম্যাক্রোঁর দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। অন্তত গত সপ্তাহের জনমত জরিপ হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। তারা নিজেদের নিউ ইকোল্যজিক্যাল অ্যান্ড সোস্যাল পপুলার ইউনিয়ন বলে পরিচয় দিচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পার্লামেন্টে অন্তত ২৮৯টি আসন পেতে হবে ম্যাক্রোঁর দলকে। সামপ্রতিক জনমত জরিপগুলো বলছে লেফ্ট-গ্রিন জোট সেটা হতে দেবে না। ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোট নিজেদের সুবিধার জন্য বামপন্থি, সমাজবাদী, ফার-লেফ্ট মিলাঙ্ককুনিস্ট এবং গ্রিন্সদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, এনইউপিইএস জোট দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই, অবসর গ্রহণের বয়স কমিয়ে আনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছে। অনেক গ্রিন নেতা এবং গ্রিন ভোটার তাদের সমর্থন দিচ্ছে। ওইসব ভোটারা মনে করছেন গত পাঁচ বছরে ম্যাক্রোঁ এসব বিষয়ে খুব সামান্য কাজই করেছেন।
রোববার দ্বিতীয় দফা ভোটে বেশিরভাগ আসনেই হাড্ডহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।