গত বারের বিশ্বজয়ী। এ বারও ট্রফির ব্যাপারে অন্যতম দাবিদার। ফ্রান্সের সামনে প্রধান বাধা নিজেরাই। গত ৬০ বছরে কোনো দেশ যা করে দেখাতে পারেনি, সেই সুযোগই রয়েছে ফ্রান্সের সামনে। তা হল, বিশ্বকাপ ধরে রাখার।
শেষ বার এই কাজ করে দেখিয়েছে ব্রাজিল। ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-তে পর পর বিশ্বকাপ জেতে তারা। এ বারও বিশ্বের সেরা কিছু ফুটবলার রয়েছে তাদের। যার মধ্যে রয়েছেন করিম বেঞ্জেমা, কিলিয়ান এমবাপে, এনগোলো কান্টে, আতোয়া গ্রিজম্যান এবং ওসমানে দেম্বেলে। শুধু তাই নয়, অহেলিয়ে চুয়ামেনি, উইলিয়াম সালিবা, জুলস কৌন্ডেরা।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ফ্রান্স। সেই দলের অধিনায়ক দিদিয়ের
দেশ গত দশ বছর ধরে দেশের কোচ। তিনি বার বারই বলেছেন, নির্দিষ্ট কোনো কৌশল নিয়ে নামতে চান না। পরিস্থিতি যেমন, তেমনভাবেই দল সাজাবেন। দলের সহকারী কোচ গাই স্টেফান বলেছেন, দিদিয়ের চায় প্রতিটা ম্যাচে তরতাজা মনোভাব। শুধুমাত্র বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলতে চাই না। বল পায়ে থাকলে আক্রমণেও যেতে চাই।
তবে চিন্তা হতে পারে দলের মিডফিল্ড। চোটের কারণে নেই পল পোগবা। একই অবস্থা গত বার বিশ্বকাপে খেলা কান্টেরও। গত বার ৪-২-৩-১ ছকে খেললেও এ বার তারা খেলতে পারে ৩-৪-৪ ছকে। স্বাভাবিকভাবেই আক্রমণের ছকে হাঁটবেন দিদিয়ের। যদি তা কাজে লাগে, তা হলে ফ্রান্সকে আটকানোর মতো ক্ষমতা এ বার খুব কম দলের রয়েছে।
পুরো দল : হুগো লোরিস, আলফোন্সে আরিয়োলা, স্টিভন মানদান্দা (গোলকিপার); উইলিয়াম সালিবা, রাফায়েল ভারানে, ইব্রাহিমা কোনাতে, আঙেল দিসাসি, বজামা পাভা, দায়োত উপামেকানো, লুকাস হের্নান্দেস, থিয়ো হের্নান্দেস, জুলস কৌন্ডে (ডিফেন্ডার); এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, মাত্তেয়ো গুয়েনডুজি, আদ্রিয়েন রাবিয়ত, অহেলিয় চুয়ামেনি, জর্ডান ভেরেতু, ইউসুফ ফোফানা (মিডফিল্ডার); আতোয়া গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিহু, ওসমানে দেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপে, করিম বেঞ্জেমা, কিংসলে কোমান, রান্ডাল কোলো মুয়ানি, মার্কাস থুরাম (ফরোয়ার্ড)। সম্ভাব্য একাদশ: (৩-৪-৩) লোরিস, পাভা, ভারানে, উপামেকানো, থিয়ো, ফোফানা, চুয়ামেনি, কামাভিঙ্গা, দেম্বেলে, বেঞ্জেমা, এমবাপে।