অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন নেতা। খবর বিডিনিউজের। মানববন্ধনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা তাজা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করেছে। তাদের সাথে আলোচনা না করে এই নিয়োগ দিয়েছেন। আপনারা শিক্ষার্থী, নাগরিক, শ্রমিক–জনতার সাথে মশকরা বন্ধ করেন। আপনারা বিপদে পড়বেন, তারপর ছাত্রদের রাস্তায় নামতে বলবেন। এভাবে আর বেশিদিন হবে না। যারা ফ্যাসিবাদের নুন খেয়েছে, আমরা কোনো ফর্মেটেই তাদের পুনর্বাসন দেখতে চাই না। তিনি আরও বলেন, যাদেরকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস আমরা জানতে চাই। আর যদি কোনো সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে আপনারা ছাত্র–জনতার সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমাদের মধ্য থেকে বিপ্লবী সরকারের কথা উঠে এসেছিল। কিন্তু দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে আমাদেরকে সংবিধানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বলা হয়েছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, কথা ছিল আবু সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধরা জীবন দিলে ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থা বিলোপ হবে। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদ বিলোপের স্টেকহোল্ডার, তাদের সাথে আলোচনা না করে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আপনারা যদি মনে করেন, বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে গিয়েছে। আপনারা ভুলের মধ্যে আছেন। ফ্যাসিবাদি কাঠামো বিলোপে আমরা আবারও নামতে প্রস্তত আছি। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা তরিকুল ইসলাম, হাসিব আল ইসলাম, রিফাদ রশীদসহ প্রমুখ।