বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে লেখনির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদে উস্কানিদাতা কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিংবা গণহত্যায় উস্কানি দিয়েছেন; তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। খবর বিডিনিউজের।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস লিখেছে, উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত বলতে বুঝিয়েছেন বিভিন্ন লেখনি ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করে গণহত্যার পক্ষে পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন এবং গণহত্যার জন্য উস্কানি দিয়েছেন; এমন ব্যক্তিদের। ‘তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। কেবল সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কবি পরিচয়ে কেউ রেহাই পাবেন না’, বলেন তথ্য উপদেষ্টা।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা–সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নে নাহিদ বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না; জনগণ তাদের জায়গা থেকে করছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও মামলা করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি যে, এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে। তদন্ত করে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হলে তাকে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া–সংক্রান্ত এক প্রশ্নে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়; জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়; আমরা যেহেতু একটি জরুরি পরিস্থিতিতে আছি; দেশ পুনর্গঠন করতে হচ্ছে; সেহতেু সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ বাহিনীকে সম্পূর্ণ সংস্কার করে আরও শক্তিশালী ও আস্থার জায়গায় নিয়ে এসে তাদের মাঠে ফিরিয়ে আনা হবে। এ কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে নাহিদ ইসলাম চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এবং জুরি বোর্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।