ফোনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বিপদ

| সোমবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতি সেকেন্ডে আক্রান্ত হচ্ছে কেউ না কেউ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। এমনই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াল করোনা প্রসঙ্গে একদল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের দল। তাদের দাবি স্টেইনলেস স্টিল, কাচ আর ব্যাঙ্ক নোটের উপর প্রায় ২৮ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্যানিটাইজার স্প্রে করা শুরু করেছেন মানুষ। ঘন ঘন স্যানিটাইজারে বিপদ অপেক্ষা করছে আপনার ফোনের কপালে। পাশাপাশি আপনারও। প্রথম যেটি হবে তা হলো, অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারটি ফোনের ওপর পড়লে স্ক্রিন, হেডফোন জ্যাক এবং স্পিকার খারাপ হবে।
করোনার পরে, ফোন মেরামত কেন্দ্রে পুনরুদ্ধারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধরনের ফোনগুলো মেরামত কেন্দ্রে আসছে যা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানকারই এক কর্মীর কথায়, অনেক লোক মোবাইলটিকে এমনভাবে স্যানিটাইজ করছেন যে স্যানিটাইজারটি হেডফোন জ্যাকটিতে প্রবেশ করে। ফোনের অন্দরমহলে শর্ট সার্কিট হয়ে যাচ্ছে।
স্যানিটাইজার দিয়ে ফোনটি পরিষ্কার করা হলে আপনার ফোনের রং পরিবর্তন হতে পারে। অ্যালকোহলভিত্তিক স্যানিটাইজার ফোনের ডিসপ্লে এবং ক্যামেরার লেন্সকে ক্ষতি করতে পারে। এটি ফোনের ডিসপ্লেকে হলুদ করে দেবে। সিএসআইআরও-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, সাধারণ ফ্লু-এর জীবাণুর চেয়ে দীর্ঘজীবী করোনাভাইরাস। তাঁর পরীক্ষা করে দেখেছেন, ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্লাস্টিকের ব্যাঙ্ক নোট ও মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে ব্যবহৃত কাচের ওপর টানা ২৮ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে এই ভাইরাস। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ফ্লুয়ের জীবাণু ১৭ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনা আক্রান্ত মাহিরার অনুরোধ
পরবর্তী নিবন্ধউদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অর্থ সংস্থানই বড় চ্যালেঞ্জ