ফেসবুক-এ আমরা যা ইচ্ছে তা তো লিখতে পারি না। তারপরও আমরা যার যা ইচ্ছে তা লিখে ফেসবুকওয়ালকে নোংরা করে যাচ্ছি। একজন নাগরিক হিসেবে যে কোনো বিষয়ে আমরা প্রতিক্রিয়া ও মতামত ব্যক্ত করতে পারি। সরেজমিনে দেখা কোনো সড়ক দুর্ঘটনা,অগ্নিকাণ্ডসহ যে কোনো ঘটনার প্রাসঙ্গিক ছবি থাকলে-ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তা আমরা ফেসবুকে আপলোড করতে পারি। হিংসা-ঘৃণা-বিদ্বেষের আলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কারো বিরুদ্ধে আমরা যা ইচ্ছে তাই ফেসবুকে লিখতে পারি না। একজন সংবাদকর্মী যা লিখতে পারেন-অন্যদের তা লেখার সুযোগ নেই। একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাবিষয়ক, চিকিৎসক চিকিৎসাবিষয়ক, প্রকৌশলী প্রকৌশলবিষয়ক পোস্ট দিতে পারেন-যা পড়ে অন্যরা উপকৃত হবে। অন্যের দেয়া পোস্টে আমরা লাইক-শেয়ার-কমেন্ট (গঠনমূলক) করতে পারি। কিন্তু জাতীয় প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত কোনো বিষয় বিশেষ করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্কুলার কেউ তার ফেসবুক-এ আপলোড করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। নিয়মিত হাজিরা দিতে অপ্রয়োজনীয় ভুলে ভরা লেখা ফেসবুকে ছেড়ে নিজেদের জাহির করার বাতিক আছে অনেকেরই- যা অন্যদের অস্বস্তি ও বিরক্তিতে ফেলা হয়। আমরা নিজেদের অবস্থান বিবেচনা করে কোনো বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেবো। অধিক্ষেত্রের বাইরে গিয়ে আমাদের কোনো কিছু করা সমীচীন নয়। অন্যের দেয়া পোস্টের লেখা নকল করে নিজের পোস্ট-এ দেয়া উচিত নয়। অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক, অবাস্তর ও ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত পোস্টের ছড়াছড়িতে জনপ্রিয় এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ক্রমশ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কারো কোনো পোস্ট আমাদের পছন্দ না হলে গঠনমূলক সমালোচনা করে আমরা মন্তব্য করতে পারি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা অশ্লীল ও অসুন্দর ভাষায় মন্তব্য করার কোনো অধিকার আমাদের নেই। আমাদের ভালো আচার-আচরণ ও সৌজন্যবোধ কবে জাগ্রত হবে? কবে আমাদের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সুপরিবর্তন হবে? সে অপেক্ষায় আছি আমরা।