২০২৩ সালের এসএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল গতকাল সোমবার প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এতে ফল পরিবর্তন হয়েছে মোট ১ হাজার ৮০ শিক্ষার্থীর। ফেল থেকে পাস করেছে ১৩০ জন। আর নতুন করে জিপিএ–৫ পেয়েছে আরো ১৬২ পরীক্ষার্থী। গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে এসব শিক্ষার্থীর ফল ভুল আসে। পুনঃনিরীক্ষণের পর গতকাল এদের সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করা হলো। গতবছর (২০২২ সালে) ফল পরির্তন হয় মোট ১৮২ শিক্ষার্থীর। ফেল থেকে পাস করে ৪৫ জন। আর নতুন করে জিপিএ–৫ পায় ২৪ জন।
২০২১ সালের এসএসসির উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তন হয় ২১২ শিক্ষার্থীর। ফেল থেকে পাস করে ৩৩ জন। আর নতুন করে জিপিএ–৫ পায় ১০ পরীক্ষার্থী। এছাড়া ১ জন শিক্ষার্থী ফেল থেকে জিপিএ–৫ পেয়েছিল ওইবছর।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এবার ফল পরিবর্তন হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের প্রায় ৬ গুণ। ফেল থেকে পাস করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিনগুণ। আর নতুন করে জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও গতবারের তুলনায় প্রায় ৭ গুণ বেশি। তথ্য বলছে, পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তন, ফেল থেকে পাস ও নতুন করে জিপিএ–৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড। এর আগে এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফলাফলে ‘ভুল’ ধরা পড়েনি। অবশ্য উত্তরপত্র মূল্যায়নে নিয়োজিত পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের ভুলে ফলাফলে এমন অসঙ্গতি বলে দাবি করেছেন শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার।
এদিকে, পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তিত হওয়া শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) একাদশে ভর্তিতে নতুন করে আবেদন করতে পারবে।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রকাশিত ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ২৬ হাজার ৬২২ শিক্ষার্থী এবার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন করে। এসব শিক্ষার্থীর মোট ৭১ হাজার ১০৮টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়।
উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ শেষে গতকাল এর ফলাফল প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড। ফল পরিবর্তনের পর জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরো ১৬২ জন বেড়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। প্রথম দফায় প্রকাশিত ফলে জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৫০ জন। গতকাল পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশের পর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬১২ জনে।