ফের মমতাজের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

| রবিবার , ১৩ আগস্ট, ২০২৩ at ১:১৪ অপরাহ্ণ

টাকা নিয়েও অনুষ্ঠান করতে না আসায় বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় ফের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্য গায়িকা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে। প্রায় ১৪ বছর আগের এই মামলায় এ নিয়ে চতুর্থবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল মমতাজের বিরুদ্ধে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ‘চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট’ (বহরমপুর আদালত)। গত বুধবার বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলোকেশ দাস এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন আদালতে সশরীরে হাজির না থাকার কারণে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জানা গেছে, প্রায় ১৪ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ। ২০০৪ থেকে ০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য সেখানকার শক্তিশঙ্কর বাগচী নামে এক ইভেন্ট অর্গানাইজারের সঙ্গে মমতাজরে লিখিত চুক্তি হয়। সেই মতো ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পী হিসেবে মমতাজকে প্রায় ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করেছিলেন উদ্যোক্তারা।তবে মমতাজারে বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থ নেওয়ার পরও অনুষ্ঠানে হাজির হননি। এমনকি অর্থও ফেরত দেননি তিনি। অনুষ্ঠান নিয়ে চরম হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছিল আয়োজক শক্তিশঙ্কর বাগচীকে। এরপরই চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর। কিন্তু থানা প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এর পরই বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর। সঙ্গীতশিল্পীর বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেই সূত্রে ২০০৯ সালে মমতাজের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আদালত। পরে সমন কার্যকর না করায় তার বিরুদ্ধে জারি হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তার মধ্যে ওই আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আসেন গায়িকা। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শক্তিশঙ্কর বাগচী। ২০১০ সালে নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করে মমতাজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রাখে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে মামলায় সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনবার আগাম জামিন পেয়ে যান গায়িকা। এরপর চলতি বছরের গত বুধবার (৯ আগস্ট) ফের আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান গায়িকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিডিজি ফোরাম চট্টগ্রামের সভা
পরবর্তী নিবন্ধআজ উচ্চারকের ‘শ্রাবণে রবীন্দ্রনাথ’