অনেকটা টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে কুয়েতের রাজনীতিতে। মন্ত্রিসভা গঠনের মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ফের পদত্যাগ করেছে দেশটির সরকার। আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বিরোধের জেরে এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল–জাজিরা জানিয়েছে, গত অক্টোবরে কুয়েতে মন্ত্রীসভা গঠন করা হয়েছিল। সমপ্রতি সময়ে ঋণ ত্রাণ বিল নিয়ে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় মন্ত্রীসভার সদস্যদের। এর জেরেই পদত্যাগ করেছে দেশটির সরকার। কুয়েতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কুনা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ নওয়াফ আল–সাবাহ নিজের ও মন্ত্রীসভার পদত্যাগপত্র ক্রাউন প্রিন্সের কাছে জমা দিয়েছেন। তবে ক্রাউন প্রিন্স পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। খবর বাংলানিউজের।
নওয়াফকে গত বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেহশাল আল–সাবাহ। কুয়েতে সরকার নিয়োগ করে রাজপরিবার। তবে আইনপ্রণেতারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হন। তারা অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করেন। আইন পাস ও আটকে দেওয়ার ক্ষমতা, মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে।
সমপ্রতি সময়ে নতুন সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে বিবাদ বেড়ে যায়। আইনপ্রণেতারা একটি ত্রাণ বিলের জন্য সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল। ওই বিল পাস হলে নাগরিকের ব্যক্তিগত ঋণ কিনতে পারতো কুয়েত সরকার। এনিয়ে দুই মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে চেয়েছিলেন আইনপ্রণেতারা।