সরবরাহ সংকটের অজুহাতে ফের বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। গত একদিনের ব্যবধানের কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানির পর পাইকারীতে দাম কমে যায়। এর প্রভাবে খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ১৫০–১৬০ টাকায় নেমে আসে। কিন্তু আজ (গতকাল) খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।
ভোক্তারা বলছেন, ভারত থেকে দেশে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ এসেছে। এসব মরিচ আমদানিতে খরচ পড়েছে ৫৬ টাকা। সেই হিসেবে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম খুচরা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৭০–৭৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। গতকাল বিকেলে নগরীর বেটারি গলি এবং কাজীর দেউড়ি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০–৪০০ টাকায়। হঠাৎ এমন মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে কাজীর দেউড়ি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, রেয়াজুদ্দিন বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীরা আমাদের জানিয়েছেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সংকট রয়েছে। আমাদের প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এরমধ্যে অনেকগুলো মরিচ নষ্টও পড়ছে। রেয়াজুদ্দিন বাজারের কাঁচা মরিচের আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে, সেটি দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সামান্য। তাই বাজারে এখনো মরিচের সরবরাহ সংকট রয়েছে। সরবরাহ সংকট থাকার কারণে মূলত দাম উর্ধ্বমুখী রয়েছে।
এমএম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির পরেও বাজারে এখনো ৪০০ টাকায় মরিচ বিক্রি হচ্ছে, এটি একদম অস্বাভাবিক। এখানে পরিস্কার সিন্ডিকেট কারসাজি হচ্ছে। আসলে প্রশাসনের উচিত কাঁচা মরিচের বাজারে আলাদাভাবে নজরদারি করা। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, কাঁচা মরিচ এমন কোনো অত্যবশৎকীয় পণ্য না। তারপরেও লাফিয়ে লাফিয়ে এই পণ্যটির দাম বেড়েছে। গত বছরও একবার কাঁচা মরিচের দাম দুইশত টাকা ছাড়িয়ে যায়। এবার খরা ও তীব্র তাপে দেশে কাঁচা মরিচের ফলন নষ্ট হয়ে গেছে এমন অজুহাত দাঁড় করায় ব্যবসায়ীরা। যেহেতু দেশে ফলনের ক্ষতি হয়েছে, তাই সরকার কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, তারপরেও কাঁচা মরিচের লাগামহীন দাম মেনে নেয়া যায় না। আমরা প্রশাসনকে বলবো, বাজারে যাতে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়।