ফের একদিনের গণ টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামে। মহানগর ও উপজেলা পর্যায়ে আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) এ গণটিকা দেয়া হবে। তবে দ্বিতীয় দফা এ গণটিকা কার্যক্রমে প্রথম ডোজ দেয়া হবে না। গত ৭ আগষ্ট একদিনের গণ টিকায় প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতারাই এদিন (৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী ও চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৭ আগষ্ট গণটিকা কার্যক্রমে যারা প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন, তাদেরকেই ৭ সেপ্টেম্বরের গণটিকা কার্যক্রমে ২য় ডোজ দেয়া হবে জানিয়ে এই দুই কর্মকর্তা বলেন, মহানগর ও উপজেলার গণ টিকা যিনি যে কেন্দ্রে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন, তারা একই কেন্দ্রে ২য় ডোজ নেবেন। তবে ওই দিন (৭ সেপ্টেম্বর) গণটিকা কার্যক্রমে নতুন করে কাউকে প্রথম ডোজ দেয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৭ আগষ্ট গণ টিকা কার্যক্রমে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় সবমিলিয়ে দেড় লক্ষাধিক (১ লাখ ৫৮ হাজার) মানুষ টিকার প্রথম ডোজের আওতায় এসেছেন। এর মাঝে মহানগরেই টিকা পেয়েছেন প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ। আর উপজেলা পর্যায়ে পেয়েছেন ১ লাখ ২১ হাজার জন। সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪১ ওয়ার্ডের ১২৩টি কেন্দ্রে গণ টিকা দেয়া হয়। আর উপজেলা পর্যায়ে টিকা দেয়া হয় ১৯৭টি কেন্দ্রে। এছাড়া মহানগরের ১১টি ও উপজেলা পর্যায়ে ১৪টি স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রেও টিকাদান অব্যাহত ছিল। তবে ওই দিন স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকা গ্রহীতাদের সংখ্যা গণ টিকার হিসেবে আনা হয়নি। গণ টিকার আওতায় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মর্ডানা এবং উপজেলা পর্যায়ে দেয়া হয় সিনোফার্মের টিকা।
২৫ বছর ও তদুর্ধ বয়সীরা কেন্দ্রে গিয়ে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দেখিয়ে টিকা নিতে পেরেছেন। তবে আগে থেকে যারা স্থানীয় কাউন্সিলরের তালিকায় নিবন্ধিত ছিলেন, কেবল তারাই টিকা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন মহানগর এলাকায়। অনেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তালিকাভুক্তদের টোকেন সরবরাহ করেছেন। কেন্দ্রে গিয়ে ওই টোকেন দেখিয়ে সহজেই টিকা নিতে পেরেছেন মানুষ। ইউনিয়ন পর্যায়েও জনপ্রতিনিধিদের তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাদানের সংখ্যা নির্ধারিত করে দেয়ায় তালিকাভূক্তি বা টোকেন পদ্ধতি অনুসরণ না করে উপায় ছিল না বলে জানান টিকাদানের সাথে সংশ্লিষ্টরা।
গণ টিকাদানে সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি করে অস্থায়ী কেন্দ্র করা হয়। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে একটি ওয়ার্ডে মোট ৯০০ জনকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। আর ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রতি কেন্দ্রে টিকা পেয়েছেন ২০০ জন।
