ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ

| শনিবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

ধীরগতিতে হলেও ধারাবাহিকভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী। ইতোমধ্যে দেশে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা মনে করছেন, নতুন উপধরনের কারণে সংক্রমণ বাড়ছে।

গতকাল শুক্রবার গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৯৩৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮১ জনের।

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর এ ভাইরাসে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৮১ জন মারা গেছেন। গত বছর জুনজুলাইয়ের পর সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক ছিল। চলতি মাসের এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে। খবর বাংলানিউজের।

দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় মাস্ক পরার পরামর্শসহ চার দফা ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকারের করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা, বৈশ্বিক সংক্রমণ পর্যালোচনা করে দেশে নজরদারি বাড়ানো, ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে কোভিড পরীক্ষা, আইসিইউসহ দ্রুত চিকিৎসার সব প্রস্তুতি রাখা এবং বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক ও আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের খুব একটা উদ্বেগের আশঙ্কা নাই। তবে আমাদের অগ্রিম কিছু প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। দুই তিন মাস পরে হয়তো বাংলাদেশে করোনার মূল সিজন শুরু হবে। তখন অনেক করোনা আক্রান্ত হতে পারে।

করণীয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখন করোনার সার্ভিলেন্স বাড়ানো দরকার। দেখতে হবে কোন ধরনে, কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন, কাদের মধ্যে সিভিয়ারিটি বেশি হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা, করোনার টিকা যারা পায়নি, বা এক ডোজ পেয়েছে তাদের বাকি ডোজগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা। চিকিৎসকদের, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, করোনা চিকিৎসার গাইডলাইন আপডেট, হাসপাতাল, বেড, অঙিজেন এসব বিষয়ে প্রস্তুতি এমনভাবে রাখতে হবে যেন প্রয়োজনে স্বল্প সময়ে এগুলো চালু করা যায়।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, করোনা সংক্রমণের ফের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নতুন ধরন দেশে চলে আসছে। পাঁচজনের শরীরে এটি শনাক্ত হয়েছে। যে কোনো সময় পূর্ণ সংক্রমণ শুরু হতে পারে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক
পরবর্তী নিবন্ধরিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা তাদের টার্গেট