ফেরি পল্টুনে কাদা থেকে মুক্তি

গুপ্তছড়া ঘাট

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি | শনিবার , ২২ মার্চ, ২০২৫ at ৯:০২ পূর্বাহ্ণ

গুপ্তছড়া ব্রিজের মাথায় প্রায় ৫০০ ফুটের সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছে সন্দ্বীপের নৌপথের যাত্রীরা। বিশেষ করে ভাটার সময় গত মঙ্গলবারও গুপ্তছড়া ব্রিজের মাথায় ২০০ ফুটের কাঠের ব্রিজ পাড়ি দেয়ার পর আরও প্রায় ৩০০ ফুট কোমর সমপরিমাণ পানি ও কাদামাটি মাড়িয়ে যাত্রীদের উঠতে হয়েছিল স্পিডবোট ও লাইফবোটে (লালবোট)। এছাড়া কাঠের ব্রিজটি মেরামতের কিছুদিন পর ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ছিল নিত্যকার।

এসব ভোগান্তি থেকে আপাতত মুক্তি মিলছে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে নৌপথ পাড়ি দেয়া যাত্রীদের। বহুল কাঙ্ক্ষিত ফেরি চলাচলের জন্য গুপ্তছড়ায় ফেরি ঘাটের যে পল্টুন স্থাপন করা হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে সেটা ব্যবহার করছে স্পিডবোট ও স্টিমারের যাত্রীরা। এখন আর যাত্রীদের জোয়ার ভাটার হিসেব করে ঘর থেকে বের হতে হবে না। সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া খালের ভিতরে ফেরি চলাচলের জন্য নির্মাণ করা ফেরির জেটিতে দিনের যেকোনো সময় উঠানামা করতে পারবে সন্দ্বীপবাসী।

গত বুধবার থেকে ফেরি ‘কপোতাক্ষ’ বাশবাড়িয়াগুপ্তছড়া নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে সার্ভিস চালু করেছে। দুই পাশে জোয়ারের সময় দেয়া হচ্ছে এ ট্রায়াল। ফেরি ট্রায়াল সার্ভিস চালু করার একদিন পর অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের মৌখিক নির্দেশে গুপ্তছড়া ঘাটে ফেরির পল্টুন স্পিডবোট ও স্টিমারের যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এতে করে সীমাহীন এক দুর্দশা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছে যাত্রীরা।

ফেরি ট্রায়াল সার্ভিস চালুর সময় উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা। তিনি এ সময় আজাদীকে জানান, গুপ্তছড়া ব্রিজের মাথায় কাদা মাড়িয়ে উঠানামার যে ভোগান্তি সেটি থেকে যাত্রীরা যাতে পরিত্রাণ পায় ফেরির এ পল্টুন ব্যবহার করে, সে নির্দেশনা কিছুদিন পূর্বে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট পরিদর্শনের সময় দিয়েছিলেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। ২৪ মার্চ ফেরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিনে এ পল্টুন স্থায়ীভাবে যাতে অন্যান্য নৌযানের যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারে সবসময় সেটার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটা সড়ক ও রেলপথ উপদেষ্টার মাধ্যমে আশা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বেতারের সেই কর্মকর্তা কারাগারে