সঙ্গীত তারকা ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাতিজিদের তাদের বাবার বাড়িতে ঢোকার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বাবার বাড়িতে ঢুকতে দুই বোনের বাধা পাওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে দেখে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চ আদালতের এ আদেশের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সোমবার রাতের মধ্যে দুই বোনকে ওই বাড়িতে ঢুকিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার পর গুলশান থানার ওসিকে তা টেলিফোনে তাকে জানাতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই বিশেষ কর্মকর্তা আদালতের আদেশ গুলশান থানার ওসিকে টেলিফোনে জানিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এখন গুলশান ২ নম্বরে ৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওই বাড়িতে ফেরদৌস ওয়াহিদের প্রয়াত ভাই মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দ্বিতীয় স্ত্রী আনজু কাপুর থাকেন। খবর বিডিনিউজের।
জগলুলের প্রথম স্ত্রীর দুই সন্তান মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফা অভিযোগ করেছেন, গত ১০ অক্টোবর তাদের বাবার মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান তারা। মুশফিকার ও মোবাশশারার মায়ের সঙ্গে ২০০৫ সালে বিচ্ছেদের পর ভারতীয় নাগরিক আনজু কাপুরকে বিয়ে করেন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন জগলুল। মুশফিকা ও মোবাশশারা যেমন বাবার বাড়িতে ঢুকতে বাধা পাওয়ার অভিযোগ পুলিশকে করেছেন; তেমনি আনজু কাপুরও পাল্টা জিডি করেছেন থানায়। তাতে তিনি দাবি করেছেন, দুই বোন জোর করে ওই বাড়িতে ঢুকেছেন।
হাই কোর্ট আগামী ১ নভেম্বর মুশফিকা মোস্তফা, মোবাশশারা মোস্তফা ও আনজু কাপুরকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হতে গুলশান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। তার আগে ওই বাড়িতে দুই বোনের ঢোকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বাড়িটির সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে তাদের নিরাপত্তা দিতেও গুলশানের ওসিকে বলা হয়েছে। আদালতের এই আদেশ প্রতিপালনের লিখিত প্রতিবেদনও ১ নম্বর হাজির হওয়ার সময় নিয়ে যেতে হবে ওসিকে।
গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান এর আগে বলেছিলেন, দুই পক্ষই জিডি করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলশানের ১০ কাঠা প্লটের ওই বাড়ির মালিক ছিলেন জগলুল ওয়াহিদ। বিচ্ছেদের পর তার প্রথম স্ত্রী গুলশানেই অন্য এক বাসায় ওঠেন। মুশফিকা ঢাকায় তার মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর মোবাশশারা স্বামীর সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।