চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্স–যন্ত্রপাতিসহ ১০১ লট পণ্য নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব পণ্য কিনতে চাইলে আগ্রহী বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) কাস্টমসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দরপত্র আজ বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অনলাইনে দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। এর আগে গত ২৮ আগস্ট থেকে দরপত্র দাখিল শুরু হয়। এছাড়া পণ্য প্রদর্শনের সময় ধরা হয় ৩১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ১০১ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে– বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্স, ক্যাপিটাল মেশিনারি, সিমেন্ট, তাবু, বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, অ্যাক্রিলিক পলিমার, প্লাস্টিক স্ক্র্যাপ, ওয়াস্ট পেপার, ফ্লিচ ফেব্রিক্স, এয়ার কন্ডিশনার, ট্রান্সফরমার অয়েল, ক্রাসড স্টোন, ব্যবহৃত এয়ার কম্প্রেসার, জিপসাম পাউডার এবং ব্লক মেকিং মেশিন অন্যতম।
চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ফেরদৌস আলম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলাম কার্যক্রম ত্বরান্বিত করেছে। এটি ভালো দিক। তবে আমরা চাই নিলামের পাশাপাশি অনুমোদন প্রক্রিয়াও যদি দ্রুততার সাথে করা হয়, তবে বিডাররা উপকৃত হবেন। কারণ অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেকে নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী হচ্ছেন না। এতে সরকার কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার ইয়ার্ড খালি করার লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত নিলামের আয়োজন করছি। এছাড়া বিশেষ করে যেসব পণ্য পচনশীল সেগুলো আমরা প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির মাধ্যমে ইয়ার্ড খালি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই ধারাবাহিকতায় এখন আরো ১০১ লট পণ্য নিলামে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।