ফেনীতে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে ‘লাইফবোট ও নৌকা’ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশের একটি টিম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ থানার ওসি মো. একরামুল হক।
জানা যায়, সদরঘাট নৌ থানা চট্টগ্রাম হতে ইউনিভার্সিটির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়ক মো. আরিফের মাধ্যমে কয়েকটি লাইফবোট ও নৌকার ব্যবস্থা করে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে নৌ থানার ১টি চৌকস টিম এসআই মো. ফোরকান মিয়া এবং সঙ্গীয় ফোর্স নৌকা নিয়ে বন্যা ও দূর্যোগ কবলিত মানুষদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছেন।
তাঁরা জানতে পেরেছেন, ৪৫ দিনের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি ভাঙন অংশে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম।
ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় অনেকে চৌকি উঁচু করে কোনো রকম বসবাস করছেন। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক ও উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।
এতে পরশুরাম উপজেলার পশ্চিম অলকার মাস্টারবাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ, মির্জানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাউতলি কাশিনগর ও চম্পকনগর এলাকায় বাঁধের দুইটি অংশ, চিথলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন, দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের টেটেশ্বর ও সাতকুচিয়া এলাকার ভাঙন অংশ এবং পশ্চিম মির্জানগর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে।
রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকালয়ে পানি ঢুকে তিন উপজেলার অন্তত লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।
সদরঘাট নৌ থানার ওসি মো. একরামুল হক বলেন, ‘বন্যায় পানি বন্দিদের উদ্ধারে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান থাকবে। বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। জানতে পেরেছি পানি এখনো বাড়ছে।’