ফেডারেশন কাপের যাত্রাটা হার দিয়ে শুরু করেছিল মোহামেডান। রহমতগঞ্জের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরেছিল সাদা–কালোরা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছিল আলফাজের শিষ্যরা। তবে এক ম্যাচ পরেই হারের তেঁতো স্বাদ পেতে হলো তাদের। গতকাল কুমিল্লায় আবাহনী ১–০ গোলে হারিয়ে দেয় মোহামেডানকে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন আবাহনীর ইব্রাহিম। এই হারে নকআউটে ওঠার জন্য জটিল সমীকরণের মুখে পড়তে হবে মোহামেডানকে। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল ম্যাড়ম্যাড়ে। উল্লেখযোগ্য গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনও দলই। মোহামেডানে চোট কাটিয়ে সোলেমানে দিয়াবাতে শুরু থেকে খেলেছেন। যদিও নিজের সেরা ফর্মে দেখা যায়নি তাকে। আবাহনী প্রথম সুযোগ পায় ১৯তম মিনিটে। শাহরিয়ার ইমন বক্সে ঢুকে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু লক্ষে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠু ক্লিয়ার করে দেন। সানডে–দিয়াবাতেরা চেষ্টা করে গেছেন। তাতে মোহামেডান ৩৬তম মিনিটে গোলের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সানডের ক্রস থেকে আরিফ হেড নেওয়ার আগেই হাত দিয়ে সেটি নস্যাৎ করে দেন মিতুল। দুই মিনিট পর সোলেমানে দিয়াবাতেকে শট নেওয়ার আগেই ডিফেন্ডার কামরুল ক্লিয়ার করে দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে আবাহনীর রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে মোহামেডান। আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা দলকে রক্ষা করেন বেশ কয়েকবার। খেলার ধারার বিপরীতে ৭৪তম মিনিটে ম্যাচের ডেডলক ভাঙেন ইব্রাহিম। সতীর্থের পাস থেকে বল নিয়ে শাহরিয়ার ইমন ডান প্রান্ত ধরে উঠে যান। দারুণ ক্রসে বক্সের ভেতর ইব্রাহিমকে খুঁজে নেন তিনি। মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন এগিয়ে আসলেও প্লেসিং শটে দলকে জয় এনে দেন ইব্রাহিম। এই জয়ে নকআউট পর্বের পথে এগিয়ে গেল আবাহনী। লিগে উড়তে থাকা মোহামেডানকে মেলাতে হবে জটিল সমীকরণের হিসেব। দিনের অন্য ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী ২–২ গোলে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলের সঙ্গে ড্র করেছে।