ছয় গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ জিতে ফেডারেশন কাপ শুরু করেছে আকাশি–নীল জার্সিধারী আবাহনী। প্রথমার্ধেই তিন গোল করে লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় আবাহনী। একপেশে ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে প্রাণ ফেরায় ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স। কিন্তু পেরে ওঠেনি না। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ৪–২ ব্যবধানে জিতেছে আবাহনী। জোড়া গোলের আলো ছড়িয়েছেন সুলেমানে দিয়াবাতে ও শেখ মোরসালিন। ফকিরেরপুলের ব্যবধান কমানো দুই গোল শান্ত টুডু ও মোহাম্মদ রিয়াদের। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেলে আবাহনী। গোলের দেখা মিলে যায় পঞ্চম মিনিটে। জাফর ইকবালের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়া দিয়াবাতেকে ফাউল করেন গোলকিপার সাজু আহমেদ। সফল স্পট কিকে আবাহনীকে এগিয়ে নেন দিয়াবাতেই। সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ ফকিরেরপুল পায় চতুর্দশ মিনিটে। বক্সের বাইরে থেকে মোস্তফা মাহমুদের নিচু শট গোলরক্ষক প্রীতম হাসানকে ফাঁকি দিলেও পোস্টে বাধা পায়। আবাহনী ব্যবধান দ্বিগুণ করে ৩৩ মিনিটে, মোরসালিনের গোলে। মাঝমাঠ থেকে দিয়াবাতের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে সামনে এগিয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর আরেক সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩–০ করেন দিয়াবাতে। বক্সে মালির এই ফরোয়ার্ডকে মোহামেদ ফোফানা জার্সি টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর আল আমিন দুটি ভালো সুযোগ নষ্ট করলেও চালকের আসনে থেকেই বিরতিতে যায় প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় ফকিরেরপুল। মোস্তফা আব্দুলের পাস ধরে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের ঠিক ওপর থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন শান্ত। প্রীতম লাফিয়েও পাননি বলের নাগাল। কিছুটা সময় ধীরলয়ে খেলা আবাহনী ৬৩তম মিনিটে ব্যবধান ফের বাড়িয়ে নেয়। সতীর্থের কাটব্যাক থেকে ডান পায়ের শট লক্ষ্যভেদ করেন মোরসালিন। ছয় মিনিট পর বাম দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে গোলমুখে পাস বাড়ান বেন ইব্রাহিম, টোকায় বাকি কাজটুকু সারেন রিয়াদ।












