ভারী বৃষ্টি ও সাগরের জোয়ারের প্রভাবে পানির তোড়ে কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আশপাশের জিও ব্যাগগুলো ফেটে গেছে। এতে মাটি সরে মূল পার্কে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে পার্কে যাওয়ার মূল সড়কে ভাঙন ধরেছে। নতুন করে তিন কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভে কমপক্ষে ১০ স্পটে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কেও ব্যাপক ভাঙনের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে এখন থেকে পরিকল্পিত রক্ষা বাঁধ জরুরি হয়ে পড়েছে। না হয় সাগরের প্রবল স্রোতের তোড়ে ব্যাপক ভাঙনের কবলে পড়বে পার্কটি। বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ঘেঁষে সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের সাবরাংয়ে ট্যুরিজম পার্কের কাজ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। কক্সবাজার–টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশে এই ট্যুরিজম পার্কটি ১ হাজার ৪৭ একর জমির ওপর থাইল্যান্ডের পাতায়ার সৈকতের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে। পার্কটির চলমান কাজ শেষ হলে প্রতিদিন সেখানে ৪০ হাজার পর্যটক যাতায়াত করতে পারবে। সাবরাং পর্যটন অঞ্চল চালু হলে মাত্র আধা ঘণ্টায় যাওয়া যাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। সমুদ্রসৈকত দেখার পর পর্যটকরা সাবরাং পর্যটন অঞ্চল ও সেন্টমার্টিন অল্প সময়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কঙবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফের যেখানে মেরিন ড্রাইভ শেষ হয়েছে, তার পাশের জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে এই পর্যটন অঞ্চল।
২০২২ সালে ২০ নভেম্বর গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কঙবাজারের টেকনাফে সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের প্রশাসনিক ভবনসহ ৫০টি শিল্প ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সাগরের প্রবল স্রোতের তোড় পরিকল্পিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে টেকনাফ–কঙবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটি রক্ষা করা কঠিন হবে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভাঙন ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের আশপাশের সুরক্ষার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুতই এখানে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।