ফেক ফিল্ডিং নিয়ে সঠিক ফোরামে কথা বলতে চায় বিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের ম্যাচে ডিএল ম্যাথডে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বড় কোনো টুর্নামেন্টে কাছে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটা আরেকটি হারের ঘটনা। এই ম্যাচে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে ‘ফেক ফিল্ডিং’ এর অভিযোগ তুলেছিল বাংলাদেশ। অভিযোগ আমলে নিলে বাংলাদেশের স্কোরে যোগ হতো ৫ রান। দিন শেষে ৫ রানেই হেরেছে বাংলাদেশ। আপত্তি স্বত্বেও ভেজা মাঠে খেলতে হয়েছে সাকিব আল হাসানের দলকে। একটা নিয়ে উঠছে কথা। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলবে কিনা তেমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, অনুষ্ঠানিক অভিযোগ তোলার বিষয়টি অতো সহজ নয়। বৃষ্টি শেষে মাঠ ভেজা ছিল বলে বাংলাদেশি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আম্পায়ারকে বারবার মাঠ শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ভেজা উইকেটে খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যাতে সমস্যাও হয়েছে। অসাধারণ খেলতে থাকা লিটন দাসের রান আউট হওয়ার বড় কারণ ভেজা পিচে পা পিছলে যাওয়া। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনিংসের নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে বল হাতে না নিয়েই বল ছোড়ার ভান করছিলেন বিরাট কোহলি। নিয়ম অনুযায়ী সেটা ‘ফেক ফিল্ডিং’। ‘ফেক ফিল্ডিং’ নিয়ম মতে বাংলাদেশের স্কোরে ৫ রান যোগ হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচ শেষে ফেক ফিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ঘটনার সময় ক্রিজে থাকা ব্যাটার নাজমুল হোসেনও শান্ত আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ তোলেন। কিন্তু আম্পায়ার তাকে বলেন ‘তারা এমন কিছু দেখেননি’। রিপ্লে দেখে পরিস্কার হওয়ার সুযোগ থাকলেও তা করেননি আম্পায়ার। বিষয়গুলো নিয়ে নিয়ে বিসিবি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তুলবে কিনা এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, কিছু হলেই যে বোর্ডের মাধ্যমে আলাপ করা হবে। ব্যাপারটা এত সহজ না। এটা তো স্কুল নয় যে, আপনি গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে অভিযোগ করবেন। পরিস্থিতিটা সে রকম না। তারপরও আমরা যেন প্রপার ফোরামে গিয়ে কথা বলতে পারি, সেটা মাথায় আছে। ভেজা মাঠে খেলা বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, মাঠ ভেজা নিয়েও আলাপ হয়েছিল আম্পায়ারদের সঙ্গে। সাকিব বারবার বলছিল যে, আরও সময় নিয়ে মাঠ শুকাও। আরেকটু সময় নিয়ে খেলা শুরু করো। কিন্তু আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এটা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের সুযোগ ছিল না। সিদ্ধান্ত একটাই। আর সেটা হচ্ছে আপনি খেলবেন কী খেলবেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে জিতেছে লক্ষীপুর এবং বি-বাড়িয়া
পরবর্তী নিবন্ধঅজুহাত না দেওয়ার অনুরোধ হার্শা ভোগলের বাংলাদেশকে খোচা দিলেন বিরেন্দ্র সেওয়াগ