বিজ্ঞানের অভিযাত্রায় আধুনিক প্রযুক্তির বদৌলতে সবাই এখন কম বেশি ফেসবুক ভাইরালে বিভোর। দিনের অনেক সময় এই ফেইসবুক আসত্তিতে আমরা তরাঙ্গায়িত। এ এক অন্য জগতে আত্মতুষ্টির মায়াজালে বন্দি। নিজের বা অন্যের ভালো কোন সংবাদে আনন্দ ও সুখের আবেশে ভরা এক পরিপূর্ণ জীবন ঘড়ি। আবার প্রিয়জনের মৃত্যু বা কষ্টের আঘাত অনুভূতি প্রকাশে দুঃখের গল্প হয়ে থাকে নিরন্তর। থাকে হাজারো বন্ধু তালিকার লাইক, কমেন্টর মিশ্র ভাইরাল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সুখ ও যন্ত্রণার কথার মাঝে এখন কোটি জনতার স্রোত। সুখের আবেশে ভরা অনুভূতির অনুভবে আপনি আপনার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সাময়িক আনন্দ পেলেও প্রোফাইল পিকচার ছাড়া অসংখ্য আইডির বেড়াজালে আপনি হয়ে উঠতে পারেন এক যন্ত্রণাময় জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। অথচ নেই তার কোন প্রতিকার। হয়তো আপনি বললেন বা জানিয়ে দিলেন পোস্ট দিয়ে এসব ভুয়া বা ফেইক। কিন্তু কে শুনে কার কথা! মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে গেল আপনার সারা জীবনের ত্যাগ,শ্রম,মেধা ও মননে ভরা জীবন প্রশ্নবিদ্ধ। হয়তো সবাই কমেন্ট করবে থানায় যান,জিডি করেন, প্রতিবাদ প্রতিরোধে করুন। থানায় গেলেন, জিডিও করলেন ফলাফল অন্তঃসার শূন্য। লাখো অভিযোগে হয়তো দু একটা তদন্তে বের হয়ে আসলেও বাকী সব বিচার নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এসব বিভীষিকাময় যন্ত্রণায় ছটফট করে চলছে অসংখ্য ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। এসবের আইন খুব সীমিত। সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিচার এখনো উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রচারে আসেনি। আর আসেনি বলেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কষ্ট ও যন্ত্রণা অনেক বেশি। আজ যেমন ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে,ঠিক তেমনি ভাবে যে বা যারা ফেইক আইডি দিয়ে দেশের বা বিদেশের অসংখ্য সামাজিক মান, মর্যাদা সম্পন্ন মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে কঠোর ও কঠিন আইন। যা দেখতে চাই দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী মানুষরা।