ফুলঝাড়ু বিক্রি করেই ৪ সদস্যের সংসার চালান মুজিবুর রহমান। প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টাকার ফুলঝাড়ু বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি ফুল ঝাড়ু নিয়ে বিক্রি করেন।
গত ১৭ অক্টোবর চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারে মুজিবুর রহমানের সাথে কথা হয়। তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। সংসারে স্ত্রী এবং ২ সন্তান রয়েছে। বাড়িতে তেমন জায়গা–জমি নাই। অভাবের কারণে লেখাপড়াও তেমন করতে পারেননি। অন্য কোনো কাজও জানেন না। তাই পেশা হিসেবে ফুল ঝাড়ু বিক্রির কাজ বেছে নেন।
মুজিবুর রহমান নিজে ফুল ঝাড়ু তৈরি করেন। তিনি কয়েক প্রকারের ঝাড়ু বানাতে পারেন। খেজুরের পাতা বা তালের পাতা দিয়ে এক ধরনের ঝাড়ু হয়। আবার পাটের রশি এবং নাইলনের চিকন সুতা দিয়েও ঝাড়ু বানানো যায়। লম্বা বাঁশের কঞ্চির ফুল ঝাড়ু একটি ৮০ টাকা এবং ছোট ফুল ঝাড়ু ৪০ টাকায় বিক্রি করেন। ৮০ টাকায় ফুল ঝাড়ু বিক্রি করলে ৩০ টাকা এবং ৪০ টাকায় ফুল ঝাড়ু বিক্রি করলে ২০ টাকা মুনাফা হয় তার।
গোপালগঞ্জে বাড়ি হলেও মুজিবুর রহমান থাকেন চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে। সেখান থেকেই বিভিন্ন স্থানে ফুল ঝাড়ু বিক্রি করতে প্রতিদিন সকালে বের হন এবং রাতে বাসায় ফেরেন। ফুল ঝাড়ু বিক্রির টাকায় তার দুই সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। ছেলেমেয়েকে কখনো ফুল ঝাড়ু বিক্রির মতো কষ্টের কাজ করতে দেবেন না বলেও মুজিবুর রহমান জানান।