শুধু চট্টগ্রামে নয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি জানতে চাওয়া হয় ফুটবল নাকি রাগবি কোনটা গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চয় উত্তর আসবে ফুটবল। কিন্তু গতকাল চট্টগ্রামে দেখা গেল ফুটবলের চাইতে রাগবি পেল গুরুত্ব। না হয় বাচ্চাদের ফুটবল ম্যাচ আধ ঘন্টার বেশি সময় বন্ধ রেখে কেন রাগবি উদ্বোধন করা হবে। তাও আবার বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচ। অথচ এটি শুধু একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি।
গতকাল বিকেলে চলছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের সীতাকুন্ড উপজেলা এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা দলের মধ্যকার ম্যাচ। ম্যাচটির এক অর্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় এখানে রাগবি উদ্বোধন করা হবে। এক অর্ধ ফুটবল খেলা ছেলেরা অপেক্ষা করল আধ ঘন্টার বেশি। রাগবি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হলো তারপর আবার ফুটবল খেলা শুরু হলো। অথচ মাঠের পূর্ব পশে রাগবির জন্য আলাদা মাঠ তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু দুই কদম এগিয়ে গিয়ে সে মাঠেই উদ্বোধন করা যেতো রাগবি টুর্নামেন্ট। কিন্তু কর্মকর্তারা সেটা করলেননা। রাগবির মত একটি (মহা গুরুত্বপূর্ন! ) খেলার উদ্বোধনের জন্য বন্ধ করে দিল বাচ্চাদের ফুটবল। বাংলাদেশে যেখানে কেন্দ্রীয়ভাবে রাগবির চর্চা হয় সামান্য সেখানে চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা রাগবি আয়োজনে মহা ব্যস্ত। যে সমস্ত কর্মকর্তারা রাগবি আয়োজনে ফুটবল ম্যাচ বন্ধ রাখল আধ ঘন্টার বেশি তারা কতটা রাগবি বুঝেন সেটা নিশ্চয়ই প্রশ্ন সাপেক্ষ।
যারা চট্টগ্রাম থেকে রাগবির বিপ্লব ঘটাতে চান তারা না বুঝলেও মঞ্চে দাড়িয়ে যারা এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করলেন তাদের মাথায়ও আসলনা যে, কেন বাচ্চাদের ফুটবল বন্ধ রেখে রাগবি উদ্বোধন করা হবে ? অথচ দুই কদম নিয়ে মাঠের ওপাশে গেলেই দুটি কাজ নির্বিঘ্নে করা যেতো। তাতে অন্তত বাচ্চাদের কাছে একটি বাজে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা হতো না। যে হারে চুকবল, রাগবি কিংবা সেপাক টাকরোর মত নতুন নতুন ইভেন্টের দিকে ঝুঁকছে চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা তাতে হয়তো এক সময় ফুটবল ক্রিকেট ভুলেই যাবে। হয়তো একদিন বিশ্ব মঞ্চে রাগবি নিয়ে জয়গান গাইবে চট্টগ্রাম !












