ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনে ৭৮টি মনোনয়ন পত্র বিক্রি

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ১৬ মার্চ, ২০২১ at ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ দিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে বেশ সরব চট্টগ্রামের ফুটবল অঙ্গন। গতকাল ছিল নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বিক্রির শেষ দিন। আর শেষ দিনে ৭৮টি মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছে নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা। তবে এই ৭৮ টি মনোনয়ন পত্রের মধ্যে দুই গ্রুপ ক্রয় করেছে ৩৫টি করে ৭০টি মনোনয়ন পত্র। তারা যে প্যানেলের জন্য মনোনয়ন নিয়েছে সেটা স্পষ্ট। কারণ ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির কমিটি ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট। এই দুই পক্ষের বাইরে আলাদাভাবে ৮টি মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা। ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেশ আগে থেকেই দুটি পক্ষ প্রস্তুত হয়ে আছে। একটি পক্ষে রয়েছে সাবেক সাধারন সম্পাদক পারভেজ মান্নানের পক্ষের লোকজন। আর অপর পক্ষে রয়েছে পারভেজ মান্নানের বিপক্ষের লোকজন। গতকাল দু পক্ষই ৩৫ টি করে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করলেও কোন পক্ষে কে কোন পদে নির্বাচন করছে সেটা জানা যায়নি। যদিও একটি পক্ষে সভাপতি হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাসানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে অন্য পক্ষে সভাপতি পদে কে নিবাচন করছেন সেটা স্পষ্ট না হলেও সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাদেশ দলের বর্তমান সদস্য মামুনুল ইসলাম মামুনের নাম বলেছেন রাশেদ। বাকিটা হয়তো মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় পরিষ্কার হবে।
এক পক্ষের ৩৫টি মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ রাশেদ। অপর পক্ষের মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন মানু দত্ত। এই দুই পক্ষের বাইরে সদস্য পদের জন্য মনোনয়ন ক্রয় করেছেন মাসুদুর রহমান। আরিফুর রহমান সোহেল নামে একজন ৪টি মনোনয়ন পত্র ক্রয় করলেও তিনি কোন পদের নাম কিংবা প্রার্থীর নাম উল্লেখ করেনি। মোহাম্মদ রাশেদ ৩৫ টির বাইরে আরো দুটি মনোনয়ণ পত্র ক্রয় করেছেন। এছাড়া প্রবীর দে নামে একজন একটি মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন। আজ এবং আগামীকাল মনোনয়ন পত্র জমাদানের দিন ধার্য করা আছে।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী যে কেউ নিজের নামে কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে পদের নাম উল্লেখ না করে মনোনয়ন নিতে পারবে। জমাও দিতে পারবে একাধিক পদে। তবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পরিষ্কার করতে হবে তিনি কোন পদে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনটা যাতে জমে উঠে সে জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন বলে জানিয়েছেন হাফিজুর রহমান। গত বছর করোনাকাল শুরুর সময় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সে সময় শেষ পর্যন্ত স্থগিত করা হয় নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত আগামী ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে স্টেডিয়াম এলাকা বেশ সরব হয়ে উঠেছে। একটি পক্ষ প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে আড্ডা জমিয়ে দিচ্ছে খেলোয়াড় সমিতির কার্যালয়ের সামনে। অপর পক্ষ জমায়েত হচ্ছে স্টেডিয়ামের অপর প্রান্তে একটি রেষ্টুরেন্টে। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত কারা নির্বাচন করছেন খেলোয়াড় সমিতির নতুন নেতৃত্বের জন্য সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকদিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুশফিককে তরুণদের জন্য উদাহরণ বললেন ট্রেনার
পরবর্তী নিবন্ধমঙ্গোলিয়ায় তুষার ঝড়ে ৬ জনের মৃত্যু