ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ওদের চোখে

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ

বয়স ভিত্তিক ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় কদিন আগে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আর সে জন্য বয়স ভিত্তিক ফুটবলের দিকে নজরটা একটু বেশিই দিচ্ছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থা। কারণ ফুটবলার সৃষ্টি করতে হলে বয়স ভিত্তিক দল গড়ে সেখান থেকেই ফুটবলার তুলে আনতে হবে। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে আগামীর ফুটবলার। সে লক্ষ্যে দেশব্যাপি বাফুফে শুরু করেছে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচি। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে যেন মেলা বসেছিল ক্ষুদে ফুটবলারদের। সবার চোখেমুখে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন। কেউ হতে চায় মামুনুল কেউবা জামাল ভুইয়া। তবে সবার স্বপ্ন যে সফল হবে না সেটাও জানতো কিশোররা। তারপরও চোখেমুখে স্বপ্ন নিয়ে সেই সকাল থেকে ভিড় জমাতে থাকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। প্রায় ৮শর মত ক্ষুদে ফুটবলারদের মধ্য থেকে গতকাল ৩৪ জনকে বাছাই করেছে বাফুফের কোচরা। তাদেরকে আজ আবার পরখ করবেন। এরপর একটি দল নিয়ে তারা ঢাকা ফিরে যাবেন।
নগরীতে এখন বেশ কিছুু ফুটবল একাডেমি গড়ে উঠেছে। সে সব একাডেমি থেকে ক্ষুদে ফুটবলাররা এসেছে স্বপ্ন পথের যাত্রী হতে। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম জানান নিকট অতীতে এত বেশি ক্ষুদে ফুটবলার বাছাই পর্বে অংশ নিতে তিনি দেখেননি। একজন সাবেক ফুটবলার হিসেবে তাই তিনিও এখন বেশ অনুপ্রাণিত। তাইতো এইসব ক্ষুদে ফুটবলারদের নিয়ে কাজ করার চিন্তা করছেন তিনি। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন মিলে এই ফুটবলারদের পরিচর্যা করতে চান। একাডেমি কাপ আয়োজন, বাচ্চাদের দীর্ঘ মেয়াদী প্রশিক্ষণ, আবাসিক ক্যাম্প সহ নানা প্রক্রিয়ায় এসব শিশু কিশোরদের গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। এবছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপ আগামী বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশীপ এবং ২০২৩ সালে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আয়োজিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশীপ কোয়ালিফায়ার্স এবং একই বছরে অনূর্ধ্ব-১৭ এএফসি কাপ অনুষ্ঠিত হবে। আর সে সব টুর্নামেন্টের জন্য দল গঠন করতেই অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সী কিশোরদের বাছাই করছে বাফুফে। গতকাল প্রায় বিশটি একাডেমির ক্ষুদে ফুটবলাররা এসেছিল বাছাই পর্বে অংশ নিতে। মাঠের খেলায় বাজিয়ে দেখার জন্য শেষ পর্যন্ত ২৩০ জনকে বাছাই করেছিল কোচরা। যেখান থেকে ৩৪ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ক্ষুদে ফুটবলাররা জানান ফুটবল তাদের সবচাইতে প্রিয় খেলা। ক্রিকেটের ডামাডোলের মাঝেও তারা ফুটবলকে বেছে নিতে চায়। ফুটবলেই প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। এজন্য নিজেদের পরিচর্যার তাগিদটা অনুভব করছে এসব কিশোররা। তারা চায় মাঠে থাকতে। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে শত শত শিশু-কিশোর যে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সেটাকেই বড় আশার বিষয় হিসেবে দেখছেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য এবং সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন আসলে এতবেশি কিশোরকে আর কখনো ফুটবল মাঠে আসতে দেখিনি। তাই আমাদের এখন উচিত যাতে এই ছেলেরা মাঠে থাকে সে ব্যবস্থা করা। যদিও জন্ম নিবন্ধন না শিক্ষাগত সনদ কোনটা আনবে তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিল ক্ষুদে ফুটবলরারা। যেকারণে হয়তো অনেকে ট্রায়ালে অংশ নিতে পারেনি। তারপরও স্বপ্ন ছেড়ে দিতে চায় না এসব কিশোররা। স্বপ্ন দেখে ফুটবলের পথে হাটতে চায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনির্বাচক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন রাজ্জাক
পরবর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ড সফরে সাকিবকে ছুটি দিয়েছে বিসিবি