একদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়াল সড়ক) কাজ আর অপরদিকে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ীর সাথে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পতেঙ্গার কাটগড়ের বাসিন্দাদের। ফুটপাত দখল করে রুটি বানানোর তন্দুরি, গ্যাস সিলিন্ডার, পান-সিগারেটের দোকান, ব্যবসায়িক পণ্য কি নেই। শুধু জায়গা নেই জনগণের হাঁটার।
এমন সব অভিযোগ পতেঙ্গার কাটগড়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সরেজমিনে দেখা যায়, কাটগড় মোড়ের কুসুম টাওয়ারের খাজা গরীবে নেওয়াজ হোটেল নামে এক রেস্টুরেন্ট ফুটপাতের প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট জায়গায় রেখেছে তাদের রুটির তন্দুরি, গ্যাস সিলিন্ডার ও গ্রিল কাবাব বানানোর মেশিন। সেখানে কথা হয় হেঁটে যাওয়া কয়েকজন পথচারীর সাথে।
মাহমুদ নামে এক শিক্ষক জানান, অপরিকল্পিতভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বসিয়ে খাজা গরীবে নেওয়াজ হোটেলটি পথচারীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। রুটির তন্দুরি বসিয়ে এমনিতে ফুটপাত সংকুচিত করে রেখেছে তার উপর এসব খোলা জায়গায় বসানো সিলিন্ডার যে কোন সময় বড় বিপদ ডেকে আনবে।
আজাদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এমনিতে উড়াল সড়কের কাজের জন্য মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে আছে তার ওপর এসব হোটেল-দোকানের বিভিন্ন সামগ্রী গিলে রেখেছে ফুটপাত। আমরা কি উড়ে উড়ে সড়ক পার হবো?
ফুটপাতে গ্যাস সিলিন্ডার ও রুটির তন্দুরি রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে খাজা গরীবে নেওয়াজ হোটেলের মালিক ফারুক বলেন, আপনাদের সমস্যা কী? আপনারা কেন এগুলো নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন? এগুলো আমার আগে যারা হোটেলের ব্যবসা করতো তাদের সময়ও ছিল। এক পর্যায়ে তিনি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নাম বলে তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করে উক্ত ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানান।
কাটগড় মুসলিমাবাদ সড়কেও গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। নাছির স্টোর, ফরায়েজি স্টোর সহ বিভিন্ন মুদি দোকানদার তাদের নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে দখল করে আছে ফুটপাত। এর ফলে এক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে হয় দশ মিনিটে। এছাড়া অবৈধ টমটম, রিক্সা ও লিংক রোড দিয়ে যাতায়াত করা বহু বড় বড় গাড়ীর কারণে পথচারীদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ ব্যাপারে ৪০নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আবদুল বারেক বলেন, আমাদের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ। জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে তাদের সুবিধার জন্য। তাদের কষ্ট লাঘবে অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করা ব্যবসায়ীদের থেকে ফুটপাত উন্মুক্ত করা হবে। এছাড়া শীঘ্রই চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে খাজা গরীবে নেওয়াজ হোটেলের অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।