ফুটপাতে কোনভাবেই আর বাণিজ্যিক স্থাপনা নয়

ড. রাশিদুল হাসান বিভাগীয় প্রধান, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, চুয়েট | বুধবার , ৩ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:২৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. রাশিদুল হাসান উদয় বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে জনসংখ্যার তুলনায় সড়ক কম। নগরীতে জনবান্ধব ফুটপাত নেই। সিটি কর্পোরেশন-সিডিএ’র সংশ্লিষ্টদের ফুটপাতের পরিমাণ বৃদ্ধির দিকে নজর দেয়া জরুরি। ফুটপাতে কোন ভাবেই বাণিজ্যিক স্থাপনা হতে পারে না। প্রতিটি যানবাহনের আলাদা লেন থাকা উচিত।
সময়ের চাহিদা মেটাতে বেসরকারি উদ্যোক্তারা বাণিজ্যিক মার্কেট তৈরি করতে পারে। ফুটপাত কিংবা সড়ক বেসরকারি উদ্যেক্তারা চাইলেও তৈরি করতে পারে না। সিটি কর্পোরেশন কিংবা সিডিএ আন্তরিক হলে নগরীর ফুটপাত রক্ষা করতে পারে। জনবান্ধব নগরী গড়ে তুলতে পারে। কর্পোরেশন বাণিজ্যিক স্থাপনা করতে চাইলে নিজেদের জায়গায় করতে পারে। ফুটপাতে সিটি কর্পোরেশন বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করলে তা নগরবাসীর জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। কর্পোরেশনের এ ধরনের কাজ জনবান্ধব নগরীতে গড়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। ফুটপাতে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ থেকে কর্পোরেশনের সরে আসা উচিত।
রাশিদুল হাসান বলেন, বাসযোগ্য শহরের মধ্যে সবুজ নগর হিসাবে রাজশাহী মহানগরী এশিয়ার শীর্ষে অবস্থান করছে। রাজশাহী শহরের বেশিরভাগ অংশের সড়ক সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের আওতায় রয়েছে। সেখানে ২২ ফুট প্রশস্ত ফুটপাত রয়েছে। সাগর, পাহাড় ও নদী বেষ্টিত চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিকভাবে দৃষ্টিনন্দন শহর। অথচ আমরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছি। নগর দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হলে রাজশাহীর চেয়ে চট্টগ্রাম নগরী অনেক বেশি দৃষ্টিনন্দন হতে পারতো। চট্টগ্রাম নগরীও থাকতে পারতো শীর্ষ অবস্থানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএভাবে চলতে থাকলে আর কোন ফুটপাত অবশিষ্ট থাকবে না
পরবর্তী নিবন্ধগাছ কেটে ফুটপাতে ৬৬ দোকান