ফুটপাতের স্থাপনা সোমবারের মধ্যে সরানোর নির্দেশ সুজনের

| রবিবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বড় বড় নালাগুলোর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়। গতকাল শনিবার সকলে নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের ওপর থেকে অবৈধ দখলমুক্ত করণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোন স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব থাকবে না। একজনের বে-আইনি সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না। এই নগরীতে এ ধরণের অনৈতিক ও জনস্বার্থ বিরোধী কোন অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না। গুটিকয়েক লোভী ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ মানুষকে জিম্মি করতে চায়। এই গুটিকয়েক দুর্জনের জন্য ৬০লাখ মানুষকে জিম্মি করা যাবে না। এরা যতই প্রভাবশালী হোক তারা সমাজের বিষফোঁড়া। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহে ব্যাধি আক্রান্ত হবে।
পরিদর্শনকালে সুজন নগরীর কদমতলী মোড় থেকে ডিটি লেইন হয়ে আগ্রাবাদ রশিদ বিল্ডিং পর্যন্ত ফুটপাতের ওপর থেকে সকল অননুমোদিত স্থাপনা, কাঠের স্ল্যাব, লোহার স্ক্র্যাপসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল নিজ উদ্যোগে সোমবারের মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর আলী বঙ, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতি. প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, মো. মনির উদ্দিন, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, আলী আকবর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনবল বাড়িয়ে দপ্তরগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ করার দাবি
পরবর্তী নিবন্ধহেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জিহাদী, ঢাকার দায়িত্বে মামুনুল হক