ফুটপাতেও জমেছে কেনাকাটা সন্ধ্যা নামতেই ক্রেতাদের ভিড়

জাহেদুল কবির | শনিবার , ২২ মার্চ, ২০২৫ at ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়ের ফুটপাতে চলছে জমজমাট বেচাবিক্রি। ভাসমান হকাররা অস্থায়ী টেবিল বসিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন। দিনের বেলা বেচাবিক্রি কিছুটা কম হলেও সন্ধ্যা নামতেই মূলত নিম্নবিত্ত শ্রেণির লোকজনের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফুটপাতের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতেও চলছে বেচাবিক্রি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর নিউ মার্কেট, আমতল, রিয়াজুদ্দীনবাজার এলাকা ঘিরে হকাররা কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। সেখানে বিক্রি হচ্ছে থ্রি পিস, শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, বাচ্চাদের কাপড়, টুপি, আতর, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। শুধু নিউমার্কেট নয় নগরীর স্টেশন রোড, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, টেরিবাজার, বহদ্দারহাট, লালদীঘি, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, ষোলশহর ২নং গেট, অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, টেক্সটাইল, বাংলাবাজার, শেরশাহ, আতুরার ডিপো, আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত কেন্দ্রিক দোকানগুলোতে জমে উঠেছে ঈদবাজার। এসব দোকানে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। নগরীর অগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাতে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রি করছেন আজমল হোসেন। তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন ফুটপাতে মানহীন কাপড় বিক্রি হয়। এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। এখানে ভালো মানের কাপড়ও পাওয়া যায়। আমাদের ক্রেতা শুধু গরিব মানুষ নয়, অনেক বড়লোকও গাড়ি থামিয়ে আমাদের কাছ থেকে পণ্য কিনেন।

নগরীর ২নং গেট এলাকার হকার আসিফুল হক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। আত্মীয় স্বজন ও একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করছি। তাই খুব টেনশনে ছিলাম। তবে এখন বেচাবিক্রি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।

নিউমার্কেট মোড়ের ফুটপাতে কথা হয় দিনমজুর ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বউবাচ্চার জন্য কিছু পোশাক কিনতে এসেছি। নিজের জন্য কিছু কিনব না চিন্তা করেছি।

নগরীর জিইসি মোড়ের ফুটপাতে তিন চাকার ভ্যান গাড়িতে শার্ট, প্যান্ট, লুঙ্গি ও শিশুদের ফ্রক বিক্রি করছেন সাইদুল আলম। বেচাবিক্রির অবস্থা কেমন জানতে চাইলে বলেন, দুপুরের পর থেকে মূলত বেচাবিক্রি শুরু হয়। সন্ধ্যার পর বিক্রির পরিমাণ বাড়ে। এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বিক্রি হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। গার্মেন্টস কর্মী আলেয়া বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। চাইলে তো মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারি না। ফুটপাতের দোকানে কম দামে সুন্দর সুন্দর পণ্য পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছর ঈদের আগে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করতে ফুটপাতে আসি।

লালদীঘি পাড়ের ফুটপাতে গত ১০ বছর ধরে ব্যবসা করছেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফুটপাতের ব্যবসাতেও এখন আগের চেয়ে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। খরচের সাথে আয়ের তেমন সামঞ্জস্য নেই। অনেক মৌসুমী হকার এখন ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়ি করে পণ্য বিক্রি করছেন। তাই এখন আর আগের মতো লাভ করতে পারি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে : তারেক
পরবর্তী নিবন্ধআ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ও বিচারে আন্দোলন চলবে : নাহিদ ইসলাম