বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালী কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল এলাকার ৩ ফিশিং বোটের মালামাল লুট ও মাঝিমাল্লাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুক্তিপণ দিয়ে এবং ফিশিং বোটের সকল মালামাল খুইয়ে গত শুক্রবার রাতে খালি হাতে কূলে ফিরে এসেছে ফিশিং বোটসহ মাঝিমাল্লারা।
জানা যায়, বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল এলাকার আবু তৈয়বের এফবি আবু তৈয়ব, মো. শফির এফবি মায়ের দোয়া, মো. আমিনের এফবি আমিন গত ১৫ ডিসেম্বর প্রয়োজনীয় মালামালসহ বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য রওনা দিলে বঙ্গোপসাগরে বাঁশখালী কুতুবদিয়া চ্যানেলে জলদস্যু সিকদার বাহিনীর খপ্পরে পড়ে। জলদস্যুরা ফিশিং বোটের সকল মালামাল লুট করে মাঝিমালাদের জিম্মি করে রাখে।
পরে জলদস্যুরা মোবাইলে বোটের মালিক ও আটক মাঝিমাল্লাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে চাহিদা মাফিক মুক্তিপণ আদায় করে বলে জানান পশ্চিম চাম্বল বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেফাজুতুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে কিছু জলদস্যু র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর কিছুদিন জেলেদের দুর্ভোগ কমলে ও আবারো শুরু হয়েছে জেলেদের উপর নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়। এ ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগর সাগর ভিত্তিক সিকদার গ্রুপ এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার এলাকার ফিশিং বোট ও জেলেদের জিম্মির কথা আমাকে জানালে তা প্রশাসনকে অবহিত করি তাদের সহযোগিতা করে উদ্ধার করার জন্য। এদিকে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জিম্মি ও মুক্তিপণ আদায়ের ব্যাপারে বিস্তারিত অবগত নয় বলে জানান বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দিন।