ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের যেসব ভূমির দখল নিয়েছে সেগুলো মিলে যদি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয় তবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি আছে হামাস। গাজার এই সশস্ত্র সংগঠনটির কয়েকজন কর্মকর্তা এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করেছে সিএনএন। খবর বিডিনিউজের।
ইস্তাম্বুলে অবস্থান করা হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম গত বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেন, যদি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, যার রাজধানী হবে জেরুজালেম। সেখানে শরণার্থীদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আল কাসেম হবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী। সেক্ষেত্রে হামাস যুদ্ধ বন্ধ করে অস্ত্র ত্যাগ করতে রাজি আছে।
ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম এবং গাজা মিলে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে আসছে। এ বিষয়ে প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ–পিএনআই এর প্রেসিডেন্ট মুস্তফা বারঘৌতি বলেন, হামাস অস্ত্র ত্যাগের বিষয়ে যে প্রস্তাব দিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে যদি খবরটি সত্য হয় তবে সেটা খুবই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে বলে মনে করেন তিনি। সিএনএন কে তিনি বলেন, এটি এই অর্থে তাৎপর্যপূর্ণ যে ফিলিস্তিনিরা দখল প্রতিরোধ করছে। কারণ সেখানে দখল করা হয়েছে। যদি সেখানে দখলের ঘটনা না ঘটতো তবে প্রতিরোধের বিষয়ও আসতো না।
এ বিষয়ে জেরুজালেম ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড সিউরিটি এর প্রেসিডেন্ট এফরাইম আনবার বলেন, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের তাদের পৈতৃক বাড়ি যেখানে আজকের ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত সেখানে ফিরে যাওয়ার দাবি খুবই অবাস্তব। সেখানে ইহুদিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং এর অর্থ হবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের ধ্বংস। পশ্চিমা দেশগুলোর সামনে ভালো সাজতে হামাস এ প্রস্তাব দিয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, তারা দেখছে পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রচুর সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। তাই তারা এটা দেখাতে চেষ্টা করছে যে তারা ভালো মানুষ এবং ইসরায়েল খুব খারাপ এবং ইসরায়েল এ প্রস্তাবে না বলবে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো এটা দেখিয়ে ইসরায়েলকে তাদের (হামাস) একটি সুযোগ দেওয়ার কথা বলতে পারে। কিন্তু ইসরায়েল তাদের এই ভালোমানুষি কে প্রতারণা বলেই ধরে নেবে।