ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ খতিয়ে দেখতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে থাকবে বলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আশ্বস্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই নেতার টেলিফোন আলাপে তিনি এ আশ্বাস দেন বলে হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জানুয়ারিতে বাইডেন-হ্যারিস দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নেতানিয়াহুর এটাই প্রথম টেলিফোন আলাপ। দুই নেতার এ কথোপকথনের একদিন আগেই আইসিসির কৌঁসুলি ফাতৌ বেনসৌদা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে জেরুজালেম ও ওয়াশিংটনের দিক থেকে এর তীব্র বিরোধিতা আসে। চলতি বছরের জুনে বেনসৌদার জায়গায় ব্রিটিশ কৌঁসুলি করিম খান দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বেনসৌদা বলেছিলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পশ্চিম তীর ও গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে তথ্য-উপাত্ত মিলেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং হামাসের মতো ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ যুদ্ধাপরাধ ঘটাতে পারে বলেও ইঙ্গিত ছিল তার। ‘দুই দেশের সরকারই যে ইসরায়েলি সেনাদের উপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারিক এখতিয়ার প্রয়োগের বিরোধিতা করছে হ্যারিস ও নেতানিয়াহুর আলোচনায় তা এসেছে,’ বলেছে হোয়াইট হাউস। দুই নেতা তাদের আলোচনায় মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ইস্যু বিশেষ করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও তাদের ‘বিপজ্জনক’ আচরণের বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতার বিষয়েও সম্মত হয়েছেন, বলা হয়েছে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে। ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অবিচল থাকবে বলে জোর দিয়ে বলেছেন হ্যারিস,’ বলেছে তারা।
টেলিফোনে হ্যারিস ইসরায়েলের টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। করোনাভাইরাস, পানি, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও অন্যান্য উদ্যোগের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও তারা একমত হয়েছেন, বলেছে হোয়াইট হাউস।