ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দেওয়া ও ইসরাইলের চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে ধর্ম বর্ণ নিবির্শেষে সকল শিক্ষার্থীরা স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন নগর ছাত্রলীগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এবং ফিলিস্তানের স্বাধীনতাকামী ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে শত শত শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ছাত্র অপূর্ব বডুয়া বলেন, পৃথিবীটা মানুষের হোক, সকল প্রাণী শান্তিতে বসবাস করুক। পৃথিবীর বাকি মানুষের মতো ফিলিস্তিনের মানুষের ও অধিকার রয়েছে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ার।
হেদায়েতুল ইসলাম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ উদ্দীন বলেন, ফিলিস্তিনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা স্কুলগুলো ইসরাইলি বাহিনী মাটির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। দখলদার ইসরায়লিদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানায়। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু এবং সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মহাগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসরাইল কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে স্বাধীন স্বার্বভৌম ফিলিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছিলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সমর্থন জানানোকে বাংলার ছাত্রসমাজ ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
আরো বক্তব্য রাখেন খোরশেদ আলম মানিক, হালিম শিকদার মিতু, আনিসুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম, ইমাম উদ্দিন নয়ন, আরাফাত রুবেল, মোশরাফুল হক পাভেল, হাবিব রহমান, রাকিব হায়দার, কাজী নাইম, জুবায়ের আলম আশিক, লায়লা সিকদার লিপি, অরুপ বিশ্বাস প্রমুখ।