কাছে যারে পেলে,নিলেনা তারে মনে
তুচ্ছ– তাচ্ছিল্য করে দূরে ঠেলে দিলে।
স্বপ্ন আঁকে সে দিনরাত ঘিরে
তোমারে করিবে বরণ আপনার তরে।
যে তোমার আপনজন কর কেন তারে হেলা
দিনশেষে মরমে দেখ বাজিবে
বিষাদের সুরের খেলা।
তার আঁখির দিকে ফিরিয়া চাও একবার
তোমারে খুঁজিছে, হৃদয়ে পুষে
তোমারি ছবিখানি বারংবার।
কী নিষ্পাপ কুসুম কোমল তার মুখখানি
বুকে জমিয়েছে বহুকাল ধরে
শিউলি,বকুল, গোলাপের মত বাণী।
শোন কান পেতে তার নিত্য আহাজারি
ফিরে যাও যুবক মালীবেশে তুমি,
সাজানো তার বিলাসী বাগানে,
ঘ্রাণ ভরে নাও দু‘হাত ভরে।
যে তোমারে চায় তুমিও তার হও
হাতের লক্ষী পায়ে না ঠেলে
নৈশব্দের শব্দে মিশে
একান্তে তারে মনের কথা কও।
অদেখা ভুবনে ডুবো না‘ক যুবক
পাবে না তো ঠাঁই সেথা,
দূর হতে হায় হাতছানি দেয়
মরীচিকার মায়ার খাতা।
কল্পনার ঘর অতি সুন্দর হয়
একথা মিছে তো নয়,
জলের ওপরে নাম লিখিলে
তা কি কখনও স্থায়ী হয়!
চোখে জ্বলে আগুন,বুকে তেষ্টা বড়
শীতল বুকে মুখের পরশ লভি,
নিষিদ্ধজনে অন্তর কাঁপে
তীরে ভাসে নীল পদ্মের সারি।
ফিরে যাও যুবক
আপনের তরে
আনন্দে হও আত্মহারা,
সুখের সন্ধানে
মেলে দাও হৃদয়
মিনতি করি করজোড়ে।