বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের অদূরে ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় ২২ মাঝিমাল্লা গতকাল সোমবার বিকালে ফিরে এলেও নিখোঁজ রয়েছে আরও ১১ মাঝিমাল্লা। গত রোববার সকালে বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল বাংলা বাজার ঘাট থেকে প্রথমে ৩৪ জন জানানো হলেও পরে জানা যায় ৩৬ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে বাঁশখালী-কুতুবদিয়া চ্যানেলের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় চাম্বল এলাকার মো. ছগিরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া নামে ফিশিং বোটটি। এ সময় একটি কর্ড জাল ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় বোটটি উল্টে যায়। এতে ওই বোটের সকল মাঝিমাল্লা সাগরে পড়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথম দিন রোববার রাতে ৩ জন এবং সোমবার বিকালে ২২ জন মিলে ২৫ মাঝিমাল্লা কূলে ফিরে এলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১১ মাঝিমাল্লা। রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে মাত্র ৪ জন নিখোঁজ থাকার কথা বললেও আদতে তা সঠিক নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে ফিরে আসা মাঝি মাল্লারা হলেন আবদুল কাদের, মো. সোহেল, অলি আহমদ, সাহাব উদ্দিন, ফিশিং বোটের মালিক মো. ছগীর, তপন মাঝি, নোয়া মিয়া, মো. এনাম, আজিজ মাঝি, ইন্দ্র বাঁশি, শ্রীমন্ত জলদাশ, কৃঞ্চপদ জলদাশ, দিদারুল আলম, বাবুল, তৌহিদ, শাহাদত, আজগর, মো. ইলিয়াস, মো. আজিজ, জহির আহমদসহ নাম না জানা আরো ২ জন।
এদিকে সোমবার পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার ঘাটে পরিদর্শনে যান চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. মুফিজ উদ্দিন, বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার ও চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী।
ওসি মো. রেজাউল করিম মজুমদার আজাদীকে জানান, রোববার রাতে ৩ মাঝিমাল্লা এবং সোমবার ২২ মাঝিমাল্লা কূলে ফিরে আসার খবর জানিয়েছেন জেলেরা। এখনও পর্যন্ত ১১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে বঙ্গোপসাগরে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।