নগরীর ফিরিঙ্গীবাজারে স্বামীর সহযোগিতায় গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে এমন অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী ও ভাসুরকে এক দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ভাসুর ইব্রাহীম রনি। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতসূত্র জানায়, হাত, পা, চোখ বেঁধে স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন স্বামী সিরাজুল ইসলাম। প্রথম দিকে সব ঠিক মনে হলেও পরে স্ত্রীর সন্দেহ হয়। তার কাছে মনে হতে থাকে, স্বামী ছাড়াও অপর একজন তার সাথে সহবাস করেন। একদিন এমন ধারণা সত্যিও প্রমাণিত হয়। সহবাসের এক মুহূর্তে চোখে বাঁধা কাপড় খুলে পড়লে স্বামীর বড় ভাই ইব্রাহীম রনিকে আবিষ্কার করেন গৃহবধূ।
বিষয়টি নিয়ে তিনি স্বামী সিরাজুল ইসলামের সাথে কথা বললেও কোনো ফায়দা হয়নি। বরং শারীরিক নির্যাতনসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ১৯ অক্টোবর স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলাটি করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ অক্টোবর গৃহবধূর স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ভাসুর ইব্রাহীম রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে দায়ের করা মামলার আরজিতে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই সামাজিকভাবে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।