দেশের প্রায় প্রত্যেক জেলায় শিমের চাষ হয়। শিমের জাত বেশি দেখা না গেলেও এলাকাভেদে জাতের ভিন্নতা রয়েছে। রয়েছে স্বাদেরও ভিন্নতা। আকারে, বর্ণেও পার্থক্য আছে। কোনোটি দেখতে লম্বা, কোনোটি ছোট। আবার কোনোটি মাঝারি। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রতি বছর শিম নিয়ে গবেষণা করা হয়। কৃষি বিভাগ বলছে, বিলুপ্ত শিমের জাত উদ্ভাবন ও নতুন নতুন জাত সৃষ্টি করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিমের রয়েছে ২০টি জাত। এদের প্রত্যেকটির বৈশিষ্ট্য আলাদা। এগুলো হলো নলী, আউশা, রঙ্গিমা, ছেই, পুঁটি, আউশা সবুজ, খিরনলী, তক্তা, হাতি কানে, কাইকা, মটর, সিরা, বরবটি, বাইমা, নরসিন্দি, চটকা, সিন্দুর, খয়েরি লম্বা, কার্তিক ও সূর্যমুখী সিম। চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাটা ও লাল শিম প্রসিদ্ধ। এছাড়া চলতি বছর আরও সাতটি শিমের জাত সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে জাতগুলো নিয়ে কৃষি বিভাগ পর্যবেক্ষণ করছে।
মীরসারই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যে শিমের হারানো ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্য রক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক জাতের বিলুপ্ত শিমের চারা নতুনভাবে উদ্ভাবন হয়েছে। আরো নতুন নতুন জাত সৃজন হচ্ছে।
এদিকে, কৃষি বিভাগ গবেষণার প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। রোপণের তারিখ, গজানোর তারিখ, গজানোর হার, পাতার বর্ণনা, ফুল আসার সময়, ফুলের রং, শিম আসার সময়, শিমের বর্ণনা, সংগ্রহের তারিখ, সংরক্ষণের তারিখ ইত্যাদি। শীতকালীন সবজি শিম সবজি, ভাজা, ভর্তা ও মাছের সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। শিমের বিচিকে বলা হয় খাইস্যা। ওটাও মজার খাবার।
ভাদ্র মাসে শিম বীজ রোপণ করা হয়। কৃষকেরা জানান, সাধারণত ভাদ্র মাসের ১৩ তারিখে রোপণ করা হয়। ওই দিন বীজ রোপ করলে ফলন বেশি হয়। তবে আষাঢ়/শ্রাবণ মাসেও বীজ রোপণ করা যায়। বীজ রোপণের ৪ মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু করে। এরপর ৮/১০ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়।