চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক–দক্ষিণ বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিসি–ট্রাফিক) এন এম নাসিরুদ্দিন বলেছেন, নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এর জন্য শুধু পরিবহন চালক–শ্রমিক এককভাবে দায়ী নয়, জনসচেতনতাও জরুরি। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সড়কে লাইসেন্স, ডকুমেন্ট বা ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আসন্ন পবিত্র ঈদ–উল আযহাকে সামনে রেখে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা–নামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পাকিং, অযথা হর্ন বাজানো, একটানা ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর চট্টগ্রাম–শুভপুর বাস মালিক–শ্রমিকদের সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে আয়োজিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ডিসি–ট্রাফিক বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পরিবহন চালক–শ্রমিকসহ প্রত্যেককে আন্তরিক হতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, ওভার টেকিং, ওভার লোড, ওভার স্পিড ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো যাবে না। সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ি চালালে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।
চট্টগ্রাম–শুভপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে ও সিএমপির ট্রাফিক–দক্ষিণ বিভাগের টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক–দক্ষিণ) মো. আকরামুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআই (সদরঘাট) জহুরুল ইসলাম সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম–শুভপুর বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার, মহানগর শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ। সভায় চট্টগ্রাম–শুভপুর বাস মালিক ও চালক–শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।