এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রেবোটিকস প্রতিযোগিতা ‘ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ’ এ ১৭৪টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাস মহামারী প্রেক্ষাপটে বদলে গিয়েছে বিশ্ব। এ প্রতিযোগিতার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবার অনলাইনেই আয়োজিত হয়েছিল আয়োজনটি। ১২ সপ্তাহ দীর্ঘ এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত আসর বসেছিল অক্টোবরের ৩১ তারিখে। খবর বিডিনিউজের। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, গত বছর এ আসরে অষ্টম স্থান অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। এবারের হিসেবে টানা চতুর্থবারে মতো এতে অংশ নিয়েছিলো তারা। এ বছর ১১৭ পয়েন্ট অর্জন করে বাংলাদেশ পেছনে ফেলে চিলি ও আলজেরিয়াকে। যথাক্রমে চিলি দ্বিতীয়, এবং আলজেরিয়া তৃতীয় হয়েছে। প্রতিযোগিতার একেবারে শুরুর দিকেই শীর্ষে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ। ‘ফার্স্ট গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ’ প্রতিযোগিতাটির কাঠামো ও এতে বিশ্বের সব দেশের অংশগ্রহণের কারণে একে ‘রোবোটিক্স অলিম্পিক’ও বলা হয়ে থাকে। প্রতিবারের আসরে সাধারণত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের দিকে একটি করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়। মূলত পৃথিবী ও মানুষ ক্রমাগত যে হুমকিগুলোর মুখে পড়ছে, সেগুলোর সঙ্গে মিল রেখেই তৈরি করা হয় সমস্যাগুলো। পরে অংশগ্রহণকারীরা ১৪টি ধাপে সমস্যার সমাধান করে থাকেন। এবারের আসরে ‘কারিগরি চ্যালেঞ্জ’ বিভাগে বাংলাদেশ দল অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো করেছে বলে উঠে এসেছে একাধিক প্রতিবেদনে। বাংলাদেশের বিজয়ী দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ম্যানগ্রোভ স্কুলের ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী সুজয় মাহমুদ, ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুলের ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সীমান্ত, ডিপিএস এসটিএস স্কুলের ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আবরার জাওয়াদ, স্যার জন উইলসন স্কুলের ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী রাজিন আলি, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৫ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আয়মান রহমান, সানবিমসের ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী জাহরা চৌধুরী, সাউথ ব্রিজের ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী আরিভা নওয়ার, মাস্টারমাইন্ডের ১৪ বছর বয়সী শিক্ষার্থী ফাইরুজ হাফিজ ফারিন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার ইচ্ছা রয়েছে বিজয়ী বাংলাদেশ দলের।