ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াই,শিরোপা জিতল ভারত

এশিয়া কাপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | সোমবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

না, থামানো গেল না ভারতকে। অজেয় এবং অপ্রতিরোধ্য দল হিসেবে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত। তাও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে। এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ দিল ভারত। গতকালের ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আরেকটি এশিয়া কাপ জিতে নিল ভারত। এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথম পাকভারত ফাইনাল। বহুল কাঙ্ক্ষিত সে রোমাঞ্চকর ফাইনালেও শেষ হাসি ভারতের।

অথচ কী দারুণভাবেই ফাইনালটা শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পথ হারাতে তাদের বেশি সময় লাগেনি। তারপরও ১৪৬ রানের পুঁজি নিয়ে ভালোই লড়াই করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু হারিস রউফের এলোমেলো বোলিংয়ে সব শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানের। মাঠের বাইরে এই ম্যাচ নিয়ে চলছিল কথার লড়াই। কিন্তু মাঠের ভেতরের কাজটা ভারত করল দারুণ দক্ষতার সঙ্গে। তাইতো আরো একটি এশিয়া কাপ তাদের ঘরে।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান শুরুটা দারুণ করেছিল। দুই ওপেনার ফারহান এবং ফখর জামান ঝড়ো সূচনা করেন। বিশেষ করে ফারহান ছিলেন বেশ মারমুখী। ৯.৪ ওভারে ৮৪ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ফিরেন ফারহান। দ্বিতীয় উইকেটে ফখর জামান এবং সাইম আইয়ুব মিলে যোগ করেন ২৯ রান। ২৪ রান করে ফিরেন সাইম আইয়ুব। ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন পাকিস্তানের। এরপর শুরু হয় পাকিস্তানি ব্যাটারদের আসাযাওয়া। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে থাকে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন। কুলদীপ যাদবের কাছে নাকানি চুবানি খেয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। প্রথম তিন ব্যাটার মিলে করে ১১৭ রান। বাকি আট জন মিলে করেছেন ২২ রান। দারুণ শুরুর পর যেখানে রান হওয়ার কথা দুইশর উপরে সেখানে পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ৫ বল বাকি থাকতে ১৪৬ রানে অল আউট হয় পাকিস্তান। ভারতের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব। ২টি করে নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, বরুন চক্রবর্তী এবং অঙার প্যাটেল।

১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই দলের সবচাইতে সফল ব্যাটার অভিষেক শর্মাকে হারায় ভারত। ৫ রান করে ফাহিম আশরাফের শিকার হন অভিষেক। পরের ওভারে অধিনায়ক সুরিয়া কুমার যাদবকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। ফাহিম আশরাফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে শুভমান গিল যখন ফিরেন তখন ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০ রান। সে চাপ সামলে দলকে টানেন তিলক ভার্মা এবং সঞ্জু স্যামসন। দুজন মিলে ৫৭ রান যোগ করেছিলেন। ২৪ রান করা স্যামসনকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন আবরার। শিভম দুবেকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিলক ভার্মা। ১৯ তম ওভারের শেষ বলে দুবে ৩৩ রান করে ফিরলে ভাঙে ৬০ রানের পার্টনারশিপ। শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল ভারতের। প্রথম বলে ২ রান নেন তিলক। পরের বলে মারেন ছক্কা। পরের বলে নেন এক রান। পরের বলে চার মেরে দুই বল বাকি থাকতে দলকে শিরোপা জিতিয়ে দেন রিংকু সিং। ৫৩ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক ভার্মা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কোরআনে হাফেজ নিহত
পরবর্তী নিবন্ধজেলা প্রশাসনের তিন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বদলি