প্রায় দেড় দশক পর আবারো সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের সামনে। আজ টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপকে হারাতে পারলেই ২০০৫ সালের পর আবারো দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা লড়াইয়ে শামিল হতে পারবে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে অস্কার ব্রুজনের শীর্ষরা। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছ থেকে কেড়ে নেয় এক পয়েন্ট। তাই এই ম্যাচটি জিতলেই ফাইনালের টিকিট পাবে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চাইতে ২৯ ধাপ এগিয়ে মালদ্বীপ। দু দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৫ সালে। সে ম্যাচেও জিতেছিল মালদ্বীপ। তার উপর এবার নিজেদের মাঠে খেলা। সবমিলিয়ে স্বাগতিকরা ফেভারিট। তবে মোটেও ছাড় দেবে না বাংলাদেশ। নতুন কোচের অধীনে এবারের টুর্নামেন্টটি বাংলাদেশ বেশ ভালই শুরু করেছে। যদিও রকিব এবং বিশ্বনাথ এই দুই ফুটবলারকে আজ পাবে না অস্কার ব্রুজনের দল। তারপরও দলে যারা রয়েছে তাদের নিয়ে ম্যাচ জেতার সংকল্প বাংলাদেশ শিবিরে। বিশেষ করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি বড় অনুপ্রেরণা জামাল ভূঁইয়াদের জন্য। ১০ জন নিয়ে প্রায় এক অর্ধ যেভাবে লড়াই করেছে অস্কার ব্রুজনের শীর্ষরা তাতে নতুন কিছুর সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা। দলের ফুটবলাররাও রয়েছে বেশ চনমনে। তাদের লক্ষ্য দীর্ঘ দিনের শিরোপা খরা কাটিয়ে আবার আলোতে আসা। সেজন্য প্রয়োজন আগে ফাইনাল নিশ্চিত করা, যেটি হতে পারে আজই।
অন্যদিকে নেপালের কাছে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে মালদ্বীপ। তাই স্বাগতিকরা যে আজ জেতার জন্য মরিয়া থাকবে তা নিশ্চিত। তবে সাফের এবারের আসরে মাঠের পারফরম্যান্সে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের রক্ষণটাকে এবার টার্গেট করতে চায় বাংলাদেশের স্ট্রাইকাররা। কারণ এবারের টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের রক্ষণভাগকে তুলনামূলকভাবে দুর্বল ভাবা হচ্ছে। যদিও আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের কোন স্ট্রাইকার গোল পায়নি। শ্রীলঙ্কা এবং ভারতের বিপক্ষে যে দুটি গোল করেছে বাংলাদেশ সেগুলো এসেছে দুজন ডিফেন্ডারের পা থেকে। বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক কোচ নয়ন এবং স্ট্রাইকার মতিন মিয়া আশা করছেন মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল পাবেন স্ট্রাইকাররা। কারণ লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ফাইনালে যাওয়ার লড়াইটাকে নিয়ে যেতে চায় না জামাল ভূঁইয়া বাহিনী।