আড়েই দু’দল ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। তাই ত্রিদেশীয় অনূর্ধ্ব–১৯ সিরিজে গতকালের ম্যাচটি ছিল দু’দলের জন্যই কেবল আনুষ্ঠানিকতার। আর সে আনুষ্ঠানিকতার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব–১৯ দলকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল। বলা যায় ফাইনালের মহড়ায় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। তার আগে অবশ্য আগামীকাল লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ যুব দল।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে প্রোটিয়ারা। ৪৫ রানের মধ্যে তাদের ৫ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশেরে বোলাররা। এরপর বলতে গেলে একাই লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেড়শর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন বান্দিলে এমবাথা।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৩৩ রান আসে পল জেমসের ব্যাট থেকে। ৩৭.২ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার সঞ্জিত মজুমদার ৩৯ রানে শিকার করেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ আর সামিউন বশির। ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য ভালো শুরু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১২ রানে ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে হারায় বাংলাদেশ। ৩ রান করেন তিনি। এরপর দ্রুত আজিজুল হাকিম, রিজান হোসেন আর কালাম সিদ্দিকী ফিরলে ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন ওপেনার রিফাত বেগ। তবে সতীর্থদের এই আসা যাওয়ার মিছিল দেখে নিজের হাফসেঞ্চুরিটা আর তুলে নিতে পারেননি। ৪৭ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কায় ৪৩ রানে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশের জিততে তখনও দরকার ৮০ রান। তবে সে সময় দারুণ লড়াই করেন অলরাউন্ডার সামিউন বাসির। ৩৪ বলে ঝোড়ো ফিফটি করে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন তিনি। সঙ্গী ছিলেন উইকেটরক্ষক মো. আবদুল্লাহ। ৩৬ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন বাসির। আবদুল্লাহ ৪৭ বল খেলে করেন অপরাজিত ২০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বায়ান্দা মাজুলা ২৯ রানে নেন ৪টি উইকেট।