বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দিতে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চাইলে ১৮ জানুয়ারির মধ্যে জানাতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম আজ শনিবার (৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন। বিডিনিউজ
তিনি বলেন, “কোভাক্সের চিঠি শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছে। চিঠি আসার বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ কোভাক্সের এই টিকা নেবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি এবং সংক্রামক রোগের টিকা তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সংস্থার (সিইপিআই) নেতৃত্বে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য গড়ে উঠেছে কোভ্যাক্স।
খুরশীদ আলম জানান, ৬ জানুয়ারি বাংলাদেশসহ কোভ্যাক্স উদ্যোগের ১৯২টি সদস্য দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির শেষ নাগাদ বা ফেব্রুয়ারিতে তাদের থেকে স্বল্প সংখ্যক টিকা দেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে।
সদস্য দেশগুলো টিকা নিতে আগ্রহী কি না, তা আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে কোভ্যাক্সকে জানাতে হবে। ১৯ থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ বা গ্যাভি সংশ্লিষ্ট দেশের আগ্রহপত্র ও অবকাঠামো পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকা বিতরণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে এবং সদস্য দেশগুলোকে জানিয়ে দেবে।
আগামী মে মাসের মধ্যে এই টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জানুয়ারির মধ্যে দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইজারের টিকার অনুমোদন করানোর শর্তের কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. খুরশীদ আলম।
তিনি জানান, চিঠি পাওয়ার পর গতকাল শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।