অসুস্থতার কথা বলে ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে তারা। এরপর টাকা–ফয়সা ছিনিয়ে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পর্যাক্রমে মুক্তিপণ দিতে যাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকেও সবকিছু ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পুলিশকে কিছু না জানাতে দেওয়া হয় হুমকিও। অসুস্থতার ভান করে এমন সর্বস্ব লুটকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে নগরীর বায়েজিদ থানা পুলিশ।
তারা হলো, আমিনুল ইসলাম শরীফ, তোফাজ্জল হোসেন হৃদয়, মো. হৃদয়, মিনহাজুল আবেদীন মারুফ ও ওয়াজেদ হোসেন টিটু। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গত শুক্রবার বায়েজিদ এশিয়াটিক কটন মিল এলাকা থেকে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় সিনহা আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরাফাত রহমান সানি নামের একজন টাইলস মিস্ত্রি জুমায়রা ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে চাকরি শেষে ২নং গেইট থেকে তিনি বাসায় যাচ্ছিলেন। এরমধ্যে একজন অজ্ঞাত মহিলা নিজেকে অসুস্থ বলে তার হাত–পা ধরে আকুতি মিনতি করে রৌফাবাদ এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্যে। সেই অনুরোধে মহিলাটিকে নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে রৌফাবাদ পৌঁছান তিনি। সিএনজি থেকে নামামাত্র আরো কয়েকজনে মিলে তাকে এশিয়াটিক কটন মিলের ভেতরের একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে আরো কয়েকজন হাজির হয়। এরপর তাকে মারধর করে সাথে থাকা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করা হয়।
ওসি বলেন, মুক্তিপণের টাকার জন্য ভুক্তভোগী তার বড় ভাইকে ফোন করলে বড় ভাই ২০ হাজার টাকা নিয়ে সেখানে হাজির হয়। একপর্যায়ে তার সাথে থাকা তার ব্যক্তিগত টাকাও ছিনিয়ে নেন চক্রের সদস্যরা। পুলিশ বা অন্য কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া টাকার মধ্যে কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে থানার ওসি আরো বলেন, ঘটনায় আটক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।