আজকাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসার ছড়িয়ে পড়েছে শহর থেকে গ্রামেগঞ্জে। প্রযুক্তির এই দ্রুত প্রসারে শহরের মত এখন অজপাড়া গাঁয়েও ফোর জি ইন্টারনেটের সংযোগসহ হাতে হাতে শোভা পাচ্ছে স্মার্ট ফোন। আমি বলছি না বিজ্ঞানের এই দ্রুত প্রসার আমাদের সমাজের জন্য সবটাই খারাপ। সমাজে জ্ঞাণ বিজ্ঞানের প্রসার মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক সুন্দর ও সহজ করে দিয়েছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার আশীর্বাদে দেশ ও দেশের মানুষ উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রযুক্তির সুবিধাগুলোর সাথে এর অপব্যবহারও চলছে দ্বিগুণ গতিতে। আমাদের সমাজের কিশোর-কিশোরী, তরুণ -তরুণীরা প্রযুক্তির অপব্যবহারে কতটা ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে তা-ও সমাজপতি ও বোদ্ধাদের ভেবে দেখার সময় এসেছে। ফেসবুক টুইটার ইনস্ট্রাগ্রাম সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অহরহই চলছে বিভিন্ন রকমের প্রতারণা। যদিও বেশিরভাগ মানুষ নিজেরদের প্রয়োজনেই স্যোসালমিডিয়ায় এ্যাকটিভ থাকে। কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষ তার অপব্যবহারও করে। এছাড়া টিকটক-লাইকি-ভিগো জাতীয় অ্যাপসগুলো মরণঘাতী নেশার মতো। বাচ্চা থেকে বয়স্করাও এই নেশায় এখন তীব্রভাবে আক্রান্ত। যদিও কেউ কেউ শখের বশে মাঝেমধ্যে টিকটিক ভিডিও বানায়। কিন্তু কেউ আবার তারকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে এই টিকটকে নেশার মত জড়িয়ে যায়। নির্লজ্জ অঙ্গভঙ্গিতে অশ্লীলতার বিকৃত স্রোতে ভাসিয়ে দেয় নিজেকে। দ্রুত খ্যাতির লোভে অপরাধ জগতের অদৃশ্য চোরাবালিতে অজান্তেই পা ফেলে তলিয়ে যেতে থাকে ভয়ঙ্কর রহস্যের ফাঁদে। অতঃপর তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। ধাবিত হয় অন্ধকারের পথে। বিশেষ করে শহরের তুলনায় গ্রামের কিশোর কিশোরীরা না বুঝে এই আঁটকে যাচ্ছে এই ফাঁদে। সামপ্রতিক কিছু ঘটনার তদন্তে এমন ভয়ঙ্কর তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। এগুলো বন্ধ করে আমাদের যুব সমাজকে অন্ধকারের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার এখনই সময়। এরকম চলতে থাকলে সমাজের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, আগামী পৃথিবীর জন্য অদৃশ্য হুমকি হয়ে দাড়াবে এই টিকটিক-লাইকি-ডিগো জাতীয় অ্যাপসগুলো।