ফলের বাজারে দ্বিগুণ দাম

জাহেদুল কবির | বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ

রমজান শুরু হতেই ফলের বাজারে শুরু হয়েছে সীমাহীন নৈরাজ্য। রমজানে ইফতারিতে ফলের চাহিদাকে পুঁজি করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ফলের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছেন। ফলের উচ্চমূল্যের কারণে গরীব ও মধ্যবিত্তদের পক্ষে বিদেশি ফল কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ কমে গেছে। এছাডা ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে। এছাড়া বিদেশী ফল আমদানিতে গত এক বছর আগে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করে সরকার। ফলে আমদানি খরচ বেড়ে গিয়ে বাজারে প্রভাব পড়ে। এছাড়া কন্টেনার ভাড়া বৃদ্ধি, পরিবহন খরচসহ ও আনুষঙ্গিক খরচ বাড়ার কারণে ফলের দাম বেড়েছে।

নগরীর ফলমন্ডির কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, বিভিন্ন ব্যাংকে ধর্না দিয়ে অনেকে ফল আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারেননি। এছাড়া একেক ব্যাংক একেক দরে ডলারের দাম নিচ্ছে। জানা গেছে, আমাদের দেশে মৌসুমভেদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আপেল মাল্টার মতো বিদেশি ফল আমদানি হয়। বিশেষ করে আপেল আমদানি হয় চীন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। তবে আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে সামপ্রতিক সময়ে কেবল চীন থেকে আপেল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মাল্টা আসে মিশর ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। বাজারে এখন রয়েছে শুধু মিসরের মাল্টা। এছাড়া আঙুর ও ডালিম চীন ও মিসর থেকে আসে। তবে বাজারে এখন ভারতীয় আঙুরের আধিক্য রয়েছে। গতকাল নগরীর মুরাদপুর এলাকার খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চীনা আপেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। দক্ষিণ অফ্রিকার আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। চীনা কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা ও ভারতীয় কমলা বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। ভারতীয় সাদা আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা এবং কালো আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। মিশরের মাল্টা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি ডালিম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায়। ভারতীয় নাসপতি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া কলার ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা। মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।

খুচরা ফল বিক্রেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, পাইকারীতে দীর্ঘদিন ধরে ফলের দাম বাড়তি রয়েছে। তাই খুচরা বাজারে দাম বাড়তি। আবার পাইকার থেকে পণ্য কেনার পর দেখা যাচ্ছে অনেক ফল পচা কিংবা মান খারাপ। তখন সেগুলো বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই আমরা চাইলেও বেশি লাভ করতে পারি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতালে খালেদা জিয়া
পরবর্তী নিবন্ধসোমালি জলদস্যু কারা কীভাবে তাদের উত্থান