জায়গা কিনে আদালতের আদেশ নিয়েই যাত্রামোহন সেন গুপ্তের বাড়ির দখল নিতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন এম ফরিদ চৌধুরীর পরিবার। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন ফরিদের বড় ছেলে ফরহাদ চৌধুরী ।
এদিকে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এম ফরিদ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে আইনজীবী আরেফিন আলী বলেন, রহমতগঞ্জ এলাকার জায়গাটি মিলন কান্তি সেনগুপ্তের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন ফরিদ চৌধুরী। কিন্তু ‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল’ আমার মক্কেলকে ‘হেয় প্রতিপন্ন করার’ চেষ্টা করছেন। তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে নিষ্পত্তি হওয়া বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
ফরিদ চৌধুরীর বড় ছেলে ফরহাদ বলেন, আমরা কোনো জায়গা দখল করিনি, আমরা ভূমিদস্যু নই। যাত্রামোহন সেনগুপ্তের পরিবারের একমাত্র ওয়ারিশ মিলন কান্তি সেনগুপ্ত। আমরা তার কাছ থেকে এসব জমি শুরুতে বায়নানামা করে ক্রয় করি। পরে মামলা ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত আমাদের পক্ষে ডিক্রি দেয়। তিনি বলেন, যাত্রামোহন সেনগুপ্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি বাংলার জন্য অনেক করেছেন। রহমতগঞ্জ এলাকার আশেপাশে উনাদের অনেক সম্পত্তি ছিল। ওই জায়গাটি যদি ঐতিহাসিক হয়, তাহলে আশেপাশের ফ্ল্যাট বাড়ি কেমনে হল, তখন তো প্রতিবাদ হয় নাই। আমরা ওই জায়গার জন্য ১৫ বছর ধরে আদালতে লড়েছি।
রানা দাশগুপ্তকে উদ্দ্যেশ করে ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ওই স্থানে রাজাকারপুত্র শিশুবাগ স্কুল পরিচালনা করছেন। তখন উনি কোথায় ছিলেন। একতরফা ডিক্রি নিয়েছি কীভাবে বলেন? আমি, আমার পরিবার, আমার বংশ কখনো জায়গা দখল করিনি। জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে আদালত। ফরহাদ চৌধুরী বলেন, উনি (রানা দাশগুপ্ত) শ্রদ্ধেয় হলেও অনেক বিষয়ে বিতর্কিত। ওই বাড়ি দখলে বাধা দিয়ে উনার কী লাভ? ব্যক্তিস্বার্থে উনি এসব কাজ করছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদ চৌধুরী, তার মেয়ে ফারহানা চৌধুরী, তানজিনা চৌধুরী, মেয়ে জামাই গিয়াস উদ্দিন সুজন এবং রহমতগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দা বলরাম চক্রবর্তী।