ফরম পূরণে অভিভাবক হিসেবে লেখা যাবে মায়ের নাম

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

| বৃহস্পতিবার , ৩১ আগস্ট, ২০২৩ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবক কলামে বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম সংযোজনে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে রিটকারী সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট। এ রায়ের ফলে তিনজনের কেউ একজনের নাম দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে। এখন এ রায়ের আলোকে সব ফর্ম সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিলেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, আইনজীবী এস এম রেজাউল করিম এবং আইনজীবী আয়েশা আক্তার। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

রায়ের পর আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা জানিয়েছিলেন, আগে যেখানে বাবা ছিল সেখানে হাইকোর্ট রায় দিলেন বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবক, যেকোনো একজনের নাম দিয়ে ফরম পূরণ করা যাবে।

২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ঢাকার একটি দৈনিকে ‘বাবার পরিচয় নেই, বন্ধ হলো মেয়ের লেখাপড়া’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ঠাকুরগাঁওয়ের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, আমার মা আমাকে বলেছেন আমার বাবা কে। তারপরও আমি বাবার নামটি রেজিস্ট্রেশন ফরমে লিখতে পারিনি। কারণ ওই লোকটি আমার মা ও আমাকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমাকে সবাই বলেছিল চুপ করে ওই লোকটির নাম লিখে দিতে। আমি লিখিনি। আমার রেজিস্ট্রেশন কার্ডও আসেনি। সেসঙ্গে অ্যাডমিট কার্ডও এল না। আমি এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারলাম না।

এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রেজিস্ট্রেশন কার্ড না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও নারীপক্ষ হাইকোর্টে রিট করে। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০০৯ সালের ১ আগস্ট রুল জারি করেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি হয় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এ রুলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে রায় দেওয়া হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিজিসি ট্রাস্ট ভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বজনীন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক পরিমণ্ডল বাঙালির আশ্রয়স্থল